পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে চলছে চর কাটার হিড়িক। এই মাটি যাচ্ছে পটুয়াখালীর বিভিন্ন ইটভাটায়। এতে দিনে দিনে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি, নষ্ট হচ্ছে উর্বরতা। হুমকিতে রয়েছে মাটি কেটে নেওয়ায় ওইসব নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধগুলো। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কৃষি জমি বা চরের মাটি মাটি ক্রয়/ বিক্রয় নিষিদ্ধ। কিন্তু এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জেলার বিভিন্ন ইটভাটার মালিকরা অবৈধভাবে চরের জমি কম মূল্যে ক্রয় করে তৈরি করছে ইট। এ যেন মগের মুল্লুক।
সরেজমিনে, জেলার জৈনকাঠী ইউনিয়নের শেয়াকাঠি এলাকায় লোহালিয়া নদীর তীরে মেসার্স মৃধা ব্রিকসে দেখা মিলেছে চর কাটার মহা উৎসব। দেখা যায়, ভেকু দিয়ে পাশের চরের মাটি সস্তায় কিনে নিয়ে আসছে তাদের ভাটায়। একইভাবে চরের মাটি বিক্রি হচ্ছে লোহালিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া এলাকায়, গলাচিপা উপজেলার চিংড়িয়া এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।
লোহালিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামের আবদুস সালাম সিকদার বলেন, প্রতিনিয়ত রাতে চর থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। এসব মাটি এলাকার রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করে। এতে করে ক্রমশই কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। বিপাকে পড়ছে কৃষকরা।
জৈনকাঠী ইউনিয়নের শেয়াকাঠী এলাকার আলম মৃধা বলেন, এলাকার চরের মাটি ক্রয় করে নিচ্ছে শহিদ মৃধার ইটভাটায়। যার ফলে চর ছোট হয়ে যাচ্ছে। ফাটল ধরেছে বেড়িবাঁধে। এতে বেড়িবাঁধ যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে।
মৃধা ইটভাটার মালিক মো. শহিদ মৃধা বলেন, ইট তৈরিতে মাটি প্রয়োজন হয় তাই মাটি কাটি। আমরা ক্রয় করে আনি। এবিষয় নিয়ে আপনারা নিউজ করেন।
এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) চন্দন কর বলেন, চরের বা ফসিল জমি কাটা বা বিক্রয়ের কোনো বিধান নেই। এবিষয়ে অভিযান চালিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available