বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি: স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি বরগুনার বামনার হোসেন ফরাজী (৯০)। তিনি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন ফরাজী বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের উত্তর ডৌয়াতলা গ্রামের মৃত ইয়াসিন ফরাজীর ছেলে। তার বয়স ৯০ বছর। তিনি ৩ ছেলে ও ৫ মেয়ের বাবা। বিয়ে করে ছেলেমেয়ে আলাদা সংসার পেতেছে। তার মেজ মেয়ে ফাতিমা বেগমের সাথে থাকেন তিনি। এ অবস্থায় আর্থিক দৈন্যদশায় নিদারুণ কষ্টে দিন কাটছে এ বীর সেনানীর।
হোসেন ফরাজী বলেন, ‘কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ বিডিআর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খানসহ বামনার অনেকেই আমাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চেনেন।’
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ৯নং সেক্টর পটুয়াখালী, সাব-সেক্টর হেডকোয়ার্টার বুকাবুনিয়ায় যুদ্ধ করেছেন। তিনি এখান থেকেই সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ ও দেশের মুক্তিকামী মানুষের জন্য অবদান রাখেন।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন বলেন, 'তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। আমরা একসাথে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি।'
বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন খান বলেন, 'তিনি বুকাবুনিয়ায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আমাদের সাথে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও তিনি হেডকোয়ার্টার বুকাবুনিয়া ক্যাম্পে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের কাজ করতেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য।'
আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান বলেন, 'আমরা একসাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। তিনি মুক্তিযোদ্ধার দায়িত্ব পালন করলেও সনদ পাননি, এটি দুঃখজনক। আমি তার তালিকাভুক্ত হওয়ার সুপারিশ করছি।'
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available