আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে সংখ্যালঘু পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রামেশ্বর রায় (৭৫)।
অভিযোগে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২৬ এপ্রিল বুধবার ভোররাত ৪টায় স্থানীয় মতি সিকদার (৫০) ও মোঃ মকবুল সিকদার (৪৫) একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে রামেশ্বর রায়ের দোকানে ভাংচুর চালায় এবং দোকানে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এসময় ভুক্তভোগী ভাংচুরের শব্দ পেয়ে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং হামলাকারী মামুন সিকদার গংদের বাধা দেয়। কিন্তু হামলাকরীরা রামেশ্বরের পরিবারের উপর দাও, শাবল ও লাঠিসোটা নিয়া হামলার চেষ্টা করে। এসময় প্রাণ বাঁচাতে রামেশ্বর ও তার পরিবারের লোকজন ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে, তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
আমতলী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ এবং স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গোছখালী গ্রামের মোঃ মতি সিকদার , মোঃ মামুন সিকদার , মোঃ আল আমিন সিকদার এবং মোঃ মকবুল সিকদারের সাথে জমিজমাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে রামেশ্বও রায়ের পরিবারের।
সরেজমিনে দেখা যায়, রামেশ্বর রায়ের দোকানটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে আছে। আবারও হামলার ভয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ অনিমা রানী জানান, আল-আমিন সিকদার ও মামুন সিকদারদের হুমকিতে ভয়ে আমাদের বাড়ীর যুবতী মেয়েদের নিজ বাড়ীতে রাখতে পারছি না। ওরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের সম্পত্তির ১৮টি ভিটি অন্যায়ভাবে বিক্রি করে দিয়েছে। ভয়ে আমরা হিন্দু পরিবারের সদস্যরা স্বাভবিক জীবন যাপন করতে পারছি না।
এসময় রামেশ্বর রায় বলেন, আমি থানায় অভিযোগ দেয়ার পর সিকদাররা আমার পরিবারের সদস্যদের খোঁজা-খুঁজি করেছে। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা এখন একপ্রকার পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
ভুক্তভোগী সোনা রানী বলেন, রাত ৪ টার মকবুল সিকদার, মামুন সিকদার , আল আমিন সিকদার, আমিনুল হাওলাদার এবং ফোরকান মিয়া আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দিয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আল আমিন সিকদার মুঠোফোনে হামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কয়েকদিন ধরে অসুস্থ তাই কে বা কারা রামেশ্বর রায়ের দোকান ভাংচুর করেছে, তা আমি জানি না।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এখন অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available