রংপুর ব্যুরো: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার গোলাপি বেগম নিজের ও এলাকার কথা চিন্তা করে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষ করায় পেয়েছেন সফলতা। সেই সাথে ৩০ জন নারীর কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সৃষ্টি করেছেন নতুন উদ্যোক্তা। এটি লাভজনক হওয়ায় ঝুঁকে পড়েছেন অনেক নারী উদ্যোক্তা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে বসে মাশরুম চাষ করে প্রতি মাসে আয় করছেন ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা। গোলাপি বেগমের এমন উদ্যোগ দেখে কেউবা আসছেন মাশরুম কিনতে, আবার কেউবা আসছেন প্রযুক্তি শিখতে।
উদ্যোক্তা গোলাপি বেগম জানান, অসুখ নিরসনের জন্য অন্যতম উপকারী উপাদান মাশরুম। এমন কথা শুনে এলাকার লোকজনের কথা চিন্তা করে মাশরুম চাষ করতে কৃষি অফিসারের সহযোগিতায় ১০ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন সফলতার হাসি ফুটেছে আমিসহ অনেকের মুখে। ১০০ টাকা ব্যয় করে প্রতি কেজি মাশরুম বিক্রি করছেন এখন ৩০০ টাকা।
সালমা বাণু নামের আরেক নারী উদ্যোক্তা বলেন, স্বল্প পুঁজি দিয়ে মাশরুম চাষ করে নিজের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি এলাকার প্রায় ৩০ জন নারীর কর্মসংস্থান তৈরি করায় বদলেছে তাদের জীবন মান। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিষরে এটি চাষে আমরা ভালভাবে কাজ করব।
উপজেলা কৃষি অফিসার ধীবা রানী রায় জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় মাশরুম চাষের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে গোলাপি বেগমকে উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। এরপর ঘর ও বীজ বাজারজাত করণের জন্য ভ্যান গাড়িসহ সকল প্রকার সহযোগিতা করার পাশাপাশি অন্যদেরকেও উদ্যোক্তা তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রোপণের ৩০ থেকে ৩৪ দিনের মধ্যে মাশরুম বিক্রির উপযোগী হয়। চাষের ২৫ থেকে ২৭ দিনের মধ্যে তা তুলে শুকানো হয়। এর এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে সেগুলো বিক্রি করা হয়। মাশরুম সাধারণত কাঁচা ৩০০ টাকা ও শুকনো ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available