ব্রাক্ষণবাড়িয়া (দক্ষিণ) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ৯ম শ্রেণীর ছাত্র জুনায়েদ সরকার ফাহাদ ওরফে সিথিল (১৫) কে তার নানার বাড়ি মনাইখালী গ্রামে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
২৩ ডিসেম্বর সোমবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন- মনাইখালী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আলমগির হোসেন (৩৫), জাহিদ মিয়ার ছেলে মো. জিহান (২৫) ও মৃত শরিফ উদ্দিনের মেয়ে সুবর্ণা আক্তার (২৮)।
উল্লেখ্য, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৪ নভেম্বর শিথিলের নানার বাড়িতে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত সিথিল দরিয়া দৌলত গ্রামের এস এম লিটু মিয়ার ছেলে এবং বাঞ্ছারামপুর সরকারি এসএমএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মধ্যরাতে প্রধান আসামি মহিউদ্দিন তার দলবল নিয়ে সিথিলদের নানার বাড়িসহ তার স্বজনদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। এতে সিথিলসহ রহমত বেগম, স্মৃতি আক্তার, হাসেম মিয়া, শহিদ শিকদার, ময়না আক্তার ও বীথি আক্তারসহ ৯ জন আহত হয়।
পরে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাৎক্ষণিক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে চিকিৎসারত অবস্থায় সিথিল মারা যায়। মামলার বাদী রনি মিয়া জানান, আমরা সিথিলকে হারিয়েছি। প্রধান আসামিসহ সব আসামীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা চাচ্ছি।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরি বলেন, মনাইখালীর ঘটনায় ৩ জন আসামিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আটক করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাদেরকে কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available