সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের নয়াবাজার এলাকায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে সৈয়দপুর থানা পুলিশ ঘরের তালা ভেঙে ওই মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূর নাম শবনম (২৫)। তিনি শহরের ফুচকা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গির আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী ও উপজেলার বাঙালীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর পীরপাড়ার মৃত আব্দুর রহমান ও ফারজানার মেয়ে।
গৃহবধূর স্বামী জাহাঙ্গির আলম শহরের মুন্সি পাড়ার মমতাজ হোসেনের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। প্রথম স্ত্রী সন্তান থাকাবস্থায় এক মাস আগে নিহত শবনমকে বিয়ে করেন। কিন্তু এতদিন শবনম তার মায়ের বাড়িতেই ছিলেন।
২৩ ডিসেম্বর শহরের নয়াবাজার এলাকায় আব্দুল মজিদ খানের বাড়ির একটা রুম ভাড়া নিয়ে সেখানে শবনমকে রাখেন। ভাড়া থাকার বিষয় শবনমের মা জানতেন না। তাই তিনি সে দিন থেকে নিহত শবনমের মেয়েকে নিয়ে তাকে খুঁজছিলেন।
এলাকাবাসী জানায়, প্রেমের পর বিয়ে করে একটি ছেলে ও একটা মেয়ে এখানে ঘর ভাড়া নিয়েছিল। ২৪ ডিসেম্বর সকালে ছেলেটি ঘরের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে বের হয়ে যায়। সন্ধান পেয়ে রাতে মেয়ের মা এসে ঘরের জানালা দিয়ে দেখেন তার মেয়ে খাটের ওপর লেপ-কাঁথা দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় পড়ে আছে। অনেক ডাকাডাকির পরও সাড়া না দেয়ায় চিৎকার করেন তিনি।
এতে আশেপাশের লোকজন এসে মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার এ কে এম ওয়াহিদুন্নবী (সৈয়দপুর সার্কেল) ও সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন এসে তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করেন। শবনমের মা ফারজানা বলেন, জাহাঙ্গির ও তার প্রথম স্ত্রী পরিকল্পনা করে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমার মেয়ের হত্যাকারীদের আমি বিচার চাই।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে তালা ভেঙে ভাড়ায় নেওয়া ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available