নিজস্ব প্রতিনিধি: পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় অসুস্থ এক প্রবাসীকে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৮ এপ্রিল শুক্রবার তার খালাতো ভায়রা মোঃ নিভেলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগযুক্ত নিভেল নাটোরের বাগাতিপাড়ার দোবিলা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম মো. আনোয়ার হোসেন।
জানা যায়, নির্যাতিত ওমান প্রবাসী মোঃ মহিউদ্দিন সরকার (৫৬) রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকার বাসিন্দা। কিছুদিন আগে তিনি দেশে আসার পর তার ভায়রা নিভেল রেলওয়ের পুকুর লিজ নেয়ার কথা বলে তিন লাখ টাকা ধার নেয়। এ টাকা ফেরত চাওয়াতে গত ৬ এপ্রিল নিভেলের নেতৃত্বে হাফিজ, জুবায়ের ও অজ্ঞাত কয়েকজন একটি নোহা মাইক্রোবাসে তুলে মহিউদ্দিনকে অপহরণ করে। এসময় তার কাছে থাকা পৌনে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় অপহরণকারীরা। মাইক্রোবাসে তুলে তাকে হাত পা বেঁধে অচেতন করে রাখা হয়। জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখতে পান অজ্ঞাত নদীর চরে বালির মধ্যে প্রায় নগ্ন অবস্থায় তাকে বেধে রাখা হয়েছে। এসময় তার উপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত না দেয়ার শর্তে একই গাড়িতে তুলে রাতের বেলা মহিউদ্দিনকে তার নিজ বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় নির্যাতনকারীরা।
নির্যাতিত মহিউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, এর পূর্বে অনেক দেনদরবার ও অনুরোধের পর ৩ দফায় মাত্র ৭০হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে নিভেল। পরে বাকী টাকার জন্য আবারও অনুরোধ করলে গত ২৫ এপ্রিল নিভেল তার বাড়িতে আমাকে দাওয়াত দেয়। সেখানে যাওয়ার পর ওরা আমার পকেটে থাকা ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং এবং প্রকাশ্যে সবার সামনে আমাকে মারপিট করে। এসময় তার সহযোগীদের নিয়ে নিভেল হুমকি দিয়ে বলে, ভবিষ্যতে আমি যদি আবারও টাকা ফেরত চাই, তাহলে আমাকে ও আমার সন্তানকে হত্যা করবে। পরে আমাকে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
২৬ এপ্রিল এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এবং জীবনের নিরাপত্তার জন্য বাগাতিপাড়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মাহউদ্দিন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে প্রধান অভিযুক্ত মোঃ নিভেল এর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আযম খাঁন বলেন, আমরা এ ব্যপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available