বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে মীর রিজন মাহমুদ নিলয়ের (২২) সঙ্গে পরিচয় হয় একই জেলার ফৌজিয়া তাসনীন আনিকার (২০)। ভালোলাগা থেকে শুরু হয় প্রেম, অবশেষে হলেন একে অন্যের জীবন সঙ্গী।
২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে আন্দোলনের প্রায় ৫ মাস পর বিয়ের পিঁড়িতে বসে প্রেমের পূর্ণতা দেন নিলয় ও আনিকা।
বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া নিলয় পৌর শহরের আমতলা পাড় এলাকার মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ অধ্যয়নরত। আনিকা বরগুনা শহরের কলেজরোড এলাকার মনোয়ারুল ইসলাম শামীমের মেয়ে। তিনি বরিশালের ব্রজমোহন কলেজের রসায়ন বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আন্দোলনের মিছিলেই শুরু হয় তাদের সম্পর্কের পথচলা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব, যা ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রেমে। পরে পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিয়ে করেছেন তারা।
মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, আনিকার সঙ্গে আন্দোলনের মাধ্যমেই পরিচয় হয়। এমনিতে ওকে আগে দূর থেকে চিনলেও কখনও কথা হয়নি। আন্দোলন চলাকালে সবার সঙ্গেই আমার কথা হত। সবাইকে সাহস দিয়ে আন্দোলন বেগবান করার জন্য বলতাম। এ কারণেই ওর সঙ্গে আমার কথা বলা শুরু হয়। তবে ওই সময়ে আমাদের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। গত ৫ আগস্ট যখন একত্রে বিজয় মিছিলে আনন্দ উল্লাস করছিলাম তখন আমাদের মধ্যে ভালো লাগা শুরু হয়।
ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা বলেন, আন্দোলনের সময় নিলয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ওই সময় আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হত। তখন সাহস এবং সততা দেখে নিলয়ের ওপর আমি দুর্বল হই। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে আমার প্রতি আলাদা কেয়ার দেখে ওর প্রতি দুর্বলতা আরও বেড়ে যায়। পরে ৭ আগস্ট আমাকে প্রেমের প্রস্তাব না দিয়ে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন নিলয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি ভালো কাজে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো। দেশের কাছে আমার চাওয়া, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেমন সবার জানা। তেমনি এ ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসও যেন মানুষ মনে রাখে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available