ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের বিভিন্ন হাটগুলোতে চিনির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে বলে মনে করছেন ভোক্তারা।
সরেজমিনে ঘোড়াঘাটের রাণীগঞ্জ, বলগাড়ী, ডুগডুগীসহ বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ঈদুল ফিতরের আগে চিনির দাম ছিল ১২০ টাকা কেজি। ঈদের পরে তা ১২৬ টাকা দরে বিক্রি হলেও গত ২৮ এপ্রিল শুক্রবার থেকে ৩০ এপ্রিল রোববার পর্যন্ত একলাফে ১৪০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েক মাস ধরেই চিনির বাজারে একধরণের অস্থিরতা বিরাজ করছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না চিনির দাম। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটজাত ও খোলা চিনি। তবুও মিলছে না সব দোকানে।
এদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রকাশ্যে খোলা বা প্যাকেটজাত চিনির দেখা না মিললেও, ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে চিনি বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, সরকার-নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, সিন্ডিকেট করে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন আমদানিকারক ও পাইকার ব্যবসায়ীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুচরা এক ব্যবসায়ী জানান, ওসমানপুর বাজারের ব্যবসায়ী অমল গত বৃহস্পতিবার ৪০ বস্তা চিনি মজুদ করেছেন। আমদানিকারক ও পাইকার ব্যবসায়ীরা হাজার-হাজার কেজি চিনি গোপনে মজুদ করে না রাখলে চিনির বাজারে এই অস্থিরতা কখনই হতো না দাবি করেন ঐ ব্যবসায়ী।
প্রতি কেজি চিনি পাইকারদের থেকে কিনতে হচ্ছে ১২৮-১৩০ টাকায়। বেশি দামে চিনি কেনায় ফলে বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে চিনির সংকটে ডিলারা অভিযোগ করেন মিল মালিকদের ওপর। আর চিনির দাম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসা নিয়ে দিশেহারা, চা দোকান , মিষ্টি ও চিনি ব্যবহৃত বহুজাত ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
ব্যবসায়ীরা বলেন, চিনির দাম বাড়ায় মিষ্টিজাত পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি বাজারে পর্যাপ্ত চিনিও পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় পকেট কাটা যাচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। ভোক্তারা বলেছেন, আগে চিনি ১১০ টাকা কেজিতে কিনলেও, এখন ১৪০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। যেভাবে হুহু করে দাম বাড়ছে, এতে চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ও আমদানিকারকদের প্রয়োজনে একসাথে বসতে হবে। এছাড়া দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিলেও সমাধান আসবে।
এর আগে সবশেষ চলতি মাসের ৬ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশের বাজারেও সমন্বয় করতে ৩ টাকা কমিয়ে খোলা চিনি ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পরদিনই দাম আরও বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available