নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ারস কারখানায় হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিখোঁজ পরিবারের সদস্যরা ২৮ ডিসেম্বর রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। নিখোঁজ পরিবারের সদস্য নারী ও শিশুরা নিখোঁজদের ছবি হাতে নিয়ে বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে।
এতে করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে নিখোঁজ স্বজনদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। পরে নিখোঁজ স্বজনরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
নিখোঁজ স্বজনরা বলেন, গত ২৫ আগস্ট রাতে রূপগঞ্জে গাজী টায়ারস কারখানায় হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর থেকে তাদের পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ রয়েছে। ৪ মাস হয়ে আসলেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নিখোঁজ থাকায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রশাসনের লোকজন বলছে তারা বেঁচে নেই। কিন্তু তাদের মরদেহ কিংবা দেহাবশেষ কিছুই দিচ্ছে না। আমরা পরিবারের নিখোঁজদের সন্ধান চাই।
একজন স্বজন জানান, নিখোঁজদের মোবাইল ফোন নাম্বারে কল করা হলে তাদের ফোন বাজছে। কিন্তু কেউ কল রিসিভ করছে না। এ বিষয়ে প্রশাসনকে বলার পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, গাজী টায়ারসে আগুনের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটি ১৮২ জন নিখোঁজের একটি তালিকা তৈরি করেছে। তাদের ভাগ্যে আসলে কি ঘটেছে সেটা যাচাই বাছাই করার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, গাজী টায়ারসে আগুনের ঘটনায় একটি জিডি দায়ের হয়েছিল এবং জেলা প্রশাসনের একটি তদন্ত কমিটিও প্রতিবেদন দিয়েছে। সে বিষয় নিয়ে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ডিএনএ প্রতিবেদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available