ফয়সাল আজম অপু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: শীতের পিঠা-পুলির উৎসবে মেতে উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। ১ জানুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিডস পার্ক এর আয়োজনে কিডস পার্কের কর্ণার মাঠে এই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
পিঠা উৎসবে বাহারী রঙের মুখরোচক পিঠা নিয়ে উৎসবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ উদ্যেক্তরা অংশগ্রহণ করেন। এ পিঠা উৎসবে প্রায় ১২টি স্টলে নানা নাম ও রঙের মুখরোচক পিঠা দেয়া যায়। পিঠা ছাড়াও বিভিন্ন প্রশাধনীর স্টল আছে। পিঠা খেতে স্টলগুলোর সামনে ভীড় করেন শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও।
পিঠা খেতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, এখানে এসে গ্রামীণ আদি পিঠা, জামাই পিঠা, নবাবি সেমাই, হৃদয় হরণ, বাহারি গোলাপ, বউপিঠা, পুলি পিঠা, তেল পিঠা, পাটিসাপটা, মালপোয়া, ব্রেড পিঠা, চুই পিঠা, দুই পুলি, বিস্কুট পিঠা ও চন্দ্র পুলিসহ বিভিন্ন প্রকার আচার দেখা যায়। এছাড়া কফি, কেক, চা, জুস, কুরশি কাটা, নকশি কাঁথা, হোমমেড, আমসত্ত্ব, কাঁচা আমের জুস, নারিকেল পুডিং, চিকেন রোল ইত্যাদী।
পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকারী স্টল মালিক চাঁপাই ফুড এর স্বত্বাধিকারী পারভীন বলেন, আমরা সারা রাতভর পিঠা বানিয়ে নিয়ে এসেছি। এর আগে কোনো পিঠা উৎসবে যোগ দিইনি। উৎসবে এসে ভালোই লাগছে। মানুষের মধ্যে পিঠা নিয়ে ভালোই আগ্রহ রয়েছে। সেই সাথে অনেকেই পিঠা কিনে খাচ্ছে ও নতুন নতুন পিঠার সাথে পরিচিত হচ্ছে।
কিডস ল্যান্ড পার্কে আগত গণমাধ্যমকর্মী ও আম উদ্যেক্তা মো. আহসান হাবিব জানান, প্রতি বছরই কিডস ল্যান্ড পার্কে প্রতিবছর এভাবে উৎসব মূখর পরিবেশে পিঠা উৎসব করা হবে। সেই সাথে বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলাও করা হবে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবকরাও পিঠা উৎসবে এসেছে। আগামীতেও এ ধরনের পিঠা উৎসবের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
কিডস ল্যান্ড পার্কের চিত্র শিল্পী মেহেদী হাসান টয়েল বলেন, পার্কের সৌন্দর্য বর্ধন কাজ আমি সুদক্ষভাবে করেছি। আজকে বছরের প্রথম দিন পার্কে ও পিঠা উৎসবে হাজারো মানুষের উপস্থিতি খুব ভালো লেগেছে। আমি পার্কের বাকি কাজগুলো নিপুণভাবে করবো।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available