সুমন আহমেদ, মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: ভোজ্যতেল হিসেবে চাহিদা বাড়ার কারণে তিল চাষে আগ্রহ বেড়েছে মতলব উত্তরের কৃষকদের। অল্প শ্রম ও কম খরচে সব ধরণের মাটিতে তিল উৎপাদিত হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উত্তর মতলবের তিল চাষীরা এবার বাম্পার ফলনের আশা করছে।
১ মে সোমবার মতলব উত্তরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, আমন আবাদের পর ক্ষেত যখন খালি থাকে, সে সময় তিল চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
জানা যায়, তিল চাষে সার ও কীটনাশক লাগে না বললেই চলে। গরু-ছাগল তিলগাছ খায় না বলে রক্ষণাবেক্ষণের তেমন কোনো খরচ নেই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এরং বাজারে ভালো দামে বিক্রি হওয়ায় তিল চাষে কৃষকেদের আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়া ভোজ্য তেল হিসেবেও তিল তেলের চাহিদা বেড়েছে। এ বছর মতলব উত্তর উপজেলায় প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে তিল চাষ করা হয়েছে। চলিত মৌসুমে বীজ সহায়তা হিসেবে কৃষকের মাঝে তিলের বীজ প্রদান করা হয়। তিলের ব্যবহার এবং তিল থেকে উৎপাদিত তেল বেশ স্বাস্থ্যসম্মত। এ বিষয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বাজার ব্যবস্থাপনা সুবিধা পেলে এ উপজেলার কৃষিতে নতুন সম্ভবনা হতে পারে তিল।
এক সময় দেশে তিল চাষ অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে চাহিদা বাড়ায় তিল চাষ বাড়ছে। উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা জয়পুর গ্রামের চাষী আব্দুল মতিন মল্লিক বলেন, তিনি গত ৩ বছর ধরে তিলের আবাদ করছেন। এবারও করেছেন ২ বিঘা জমিতে। তাকে দেখে এ গ্রামের অনেকেই এখন তিল চাষ শুরু করেছেন। তিল চাষে রাসায়নিক সার ও জমি নিড়ানির দরকার হয় না। সামান্য শ্রম ও অল্প খরচে প্রতি বিঘায় ৫ থেকে ৬ মণ ফলন আসে।
জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজন হয় ২ কেজি বীজ। সেচ, সার এবং নিড়ানী প্রয়োজন হয় না। ফলন পাওয়া যায় ৩ মাসের মধ্যেই। ১ বিঘা জমিতে তিল চাষ করে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা আয় করা যায়।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, তিল চাষ আরও বৃদ্ধি পেলে উপজেলার ভোজ্য তেলে চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। তাছাড়া তিল গাছ শেকড়ের মাধ্যমে মাটিতে নাইট্রোজেন সংযোজিত করে। তিলের পাতা মাটির উর্বরতা বাড়াতে সহায়তা করে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available