মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে যুবদল নেতা আলমগির হোসেনকে (৩৮) হত্যার প্রধান তিন আসামিকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
৩ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে র্যাব-১২ এর মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফ উল্লাহ (পিপিএম) গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত আলমগির হোসেন পৌর এলাকার বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের মঈনউদ্দীনের ছেলে ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি।
গ্রেফতার হলেন- গাংনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড চৌগাছা গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (বিপ্লব) (৩৬), গাংনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বাশবাড়িয়া পশ্চিমপাড়ার আব্দুল আউয়ালের ছেলে মফিকুল ইসলাম (৩৯) ও গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি গ্রামের জামাত আলির ছেলে মো. আলমগির হোসেন (৪০)।
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, নিহত আলমগিরের কাছে বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের মফিকুলের ২ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল। প্রায় ৪ বছর আগে আলমগির মফিকুলের নিকট হতে টাকা ধার নিলেও তা সে পরিশোধ না করে প্রায় দেড় বছর আগে সৌদি আরবে চলে যায়। গত কয়েক মাস পূর্বে আলমগির দেশে ফেরত আসে। পাওনা টাকার জন্য মফিকুল তার বাড়িতে আসলে টাকা পরিশোধ না করে নানান টালবাহানা করে। বিষয়টি মফিকুল তার বন্ধু বিপ্লবকে জানায়। বিপ্লব এবং আলমগির একাধিকবার মফিকুলের টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
গত ১ জানুয়ারি রাতে আসামি আলমগির ধার নেওয়া টাকা কেন ফেরত দিচ্ছে না এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। তখন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামি আলমগির তার শার্টের নিচে লুকিয়ে রাখা রামদা দিয়ে আলমগির হোসেনকে মাথায় আঘাত করে। এরপর বিপ্লব ও মফিকুল ধরে রাখে এবং আসামি আলমগির তাকে দা দিয়ে জবাই করে।
পুলিশ সুপার আশরাফ উল্লাহ (পিপিএম) জানান, গত ২ জানুয়ারি সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষােলটাকা ইউনিয়নের সহড়াবাড়ীয়া-কামারখালী ইচিখালীর মাঠে আলমগির হোসেন নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে ছিল। মরদেহটি আলমগির হােসেন বলে পরিবার ও এলাকাবাসি নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available