মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুরের কাকরাইদ রাবারের জোনাল অফিস থেকে রামকৃষ্ণ বাড়ির সড়কটি পূনঃনির্মানের দাবি উঠেছে।
আউশনারা ইউনিয়নের মধ্যে কাকরাইদ দক্ষিণ, রামকৃষ্ণ বাড়ি সাইলবাইদ, ইদিলপুর ও পাশেই বেরিবাইদ ইউনিয়নের গোবুদিয়া গ্রাম গুলো অন্যতম। এ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পুরোনো কাকরাইদ রাবার অফিস-রামকৃষ্ণ বাড়ি সড়ক দিয়ে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে চলাচল করে। এক সময় এ সড়ক দিয়ে গরু-মহিষের গাড়ি ও কয়েক গ্রামের লোকজন চলাচল করতো। সড়কটির দুপাশ পর্যন্ত থাকলেও বাইদে জমির মালিকরা কেটে সরু করে আইল পরিণত করার ফলে এলাকাবাসীর যাতায়াতে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতেও সমস্যা হচ্ছে। তাই সড়কটি পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটি সরকারি ম্যাপে রয়েছে। ১০-১৫ বছর আগেও সড়কটি ছিল। এ সড়ক দিয়ে এক সময় গরু মহিষের গাড়ী ভ্যান রিকসাসহ কয়েক গ্রামের লোকজন যাতায়াত করতো। পাশেই কাকরাইদ প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুল, কাকরাইদ নতুন, পুরাতন বাজার, দেশের বৃহত্তর রাইস সাইলো, রাবারের জোনাল অফিস, রেঞ্জ অফিস, কয়েক ব্যাংক, বিএডিসিসহ সরকারী বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্থানীয় কয়েক গ্রামের মানুষের সহজে যাতায়াতের এ সড়কটি দিয়ে শিশু স্কুল মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসা করে। শুষ্ক মৌসুমে আইল নামক সড়ক দিয়ে যেতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে দেখা দেয় চরম দুর্ভোগ। পোহাতে হয় নানা কষ্ট। কৃষি ফসল বাড়িতে নিতেও কৃষকদের কষ্টের মাত্রা বেড়ে যায়। খরচ বেশি হয়। স্থানীয়দের কাকরাইদ মধুপুরসহ বিভিন্ন হাট বাজার ও দৈনন্দিন কাজে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাওয়া আসা করকে হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, বাইদের জমির মালিকরা মাটি কেটে বিক্রি করে পুরানো সড়কটি বিগত সরকারের আমলে শেষ করেছে। প্রভাবশালী থাকায় তারা বাধা দিতে আসার সাহস করেনি। সড়কটির দক্ষিণ পাশে নির্মানকৃত কালভার্টও রয়েছে। বাইদের অংশটুকু মাটি কেটে পুনঃনির্মাণ করার ব্যবস্থা তাদের চলাচল করতে অনেকটা সুবিধা হবে।
এ ব্যাপারে রামকৃষ্ণ বাড়ি গ্রামের রানী বেগম বলেন, আগে এখানে সড়ক ছিল। গরুর গাড়ী, ভ্যান, রিকসায় যাতায়াত করা গেছে। দুই পাশের জমির মালিকরা কেটে এখন আইল বানিয়ে ফেলেছে।
গোবুদিয়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর জানান, এ সড়কটি সেটেলমেন্টের রাস্তা। রাবার বাগান সড়ক থেকে যে সড়কটি এসেছে, এটাও একই রকমই ছিল। সড়ক সবার জন্যই দরকার।
রামকৃষ্ণ বাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুর জলিল জানান, ম্যাপের মধ্যে সড়কটি রয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষজন চলাচল করে থাকে। দুপাশেই পুরো সড়ক রয়েছে শুধু বাইদের মধ্যে জমির মালিকরা সড়ক কেটে ফেলায় সরু পথে পরিণত হয়েছে। বিগত সময়ে সড়কের দক্ষিণ পাশে সরকারি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে উত্তর অংশে ইটের সলিং বাজেট হয়েছে। মাঝখানে বাইদের অংশটুকু মাটি ভারাট করে দিলেই সড়কটি দিলে জনগনের চলাচলের জন্য সুগম হবে বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের হোসেন বলেন, যদি সড়কটি নকশায় থেকে থাকে তাহলে সরজমিনে দেখে উদ্ধাররে চেষ্টা করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available