ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভোর সকাল ৬টা থেকে ন্যায়্য মূল্যে সারের জন্য বি.এ.ডি.সি. ডিলারদের দোকানের সামনে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন। কেউ সারের স্লিপ পেয়েছে কেউ আবার স্লিপ ছাড়াই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে এক বস্তা সারের জন্য।
৬ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১০টায় এমন চিত্র দেখা গেছে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার বড় বাজারে বি.এ.ডি.সি. ডিলারদের দোকানের সামনে।
কৃষকরা অভিযোগ করে জানান, সরকারি নির্ধারিত মূল্যে সারের জন্য ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এই বছর এত সারের সংকট আমরা কৃষকরা কীভাবে জমি চাষ করব। খোলা বাজারে ১৪০০-১৫০০ টাকা বস্তা সার বিক্রি হচ্ছে অথচ বি.এ.ডি.সি. ডিলারদের কাছে সার নাই।
সদর ইউনিয়নের কৃষক হাবিব মিয়া বলেন, আমি ৪ একর জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছি, ডিএপি সারের জন্য ধানের জমিতে সমস্যা হচ্ছে। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি ন্যায্য মূল্যে সার কেনার জন্য। খোলা বাজারে সার ১৪০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এত দামে সার কেনা কৃষকদের জন্য কষ্টকর।
আরেক কৃষক জাকির জানান, আমার ২ একর জমিতে সার দরকার ৪ বস্তা। কিন্তু আমি স্লিপ পেয়েছি এক বস্তার। এইভাবে লাইন ধরে কোনোদিন সার কিনতে হয়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ উজ্জ্বল শাহা জানান, হাওরে বোরো ধানের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সবজি ভুট্টা, আলু, পেঁয়াজ, ফুলকপি চাষ বৃদ্ধি হওয়ায় বোরো ধানের বরাদ্দের সারগুলো অতিরিক্ত এইসব জমিতে ব্যবহার হচ্ছে যার ফলে বোরো ধানের জন্য সার পেতে কষ্ট হচ্ছে। আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ মাঠে থেকে চেষ্টা করছে কৃষকরা যেনো ন্যায্যমূল্যে সার পেতে পারেন। ডিলাররা যেনো কালো বাজারে সার বিক্রি করতে না পারে সেজন্য প্রশাসন-সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে সার দেওয়া হচ্ছে।
চলতি মৌসুমে ইটনা উপজেলায় ২৭ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এইভাবে সার এর সংকট থাকলে বোরো ধানের আবাদ ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওরে দ্রুত সারের বরাদ্দ বৃদ্ধি করার দাবি প্রান্তিক কৃষকদের।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available