মো. ওমর ফারুক, সাভার প্রতিনিধি: সাভারের একটি বেসরকারি ব্যাংকের লোন শাখায় চাকরির আড়ালে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে ইফতেখার হোসেন নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মঞ্জুরুল হক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভারের বেসরকারি প্রাইম ব্যাংকের লোন শাখার রিলেশন ম্যানেজার (আরএম) পদে চাকরি করেন ইফতেখার হোসেন। তিনি ব্যাংকে চাকরির আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। তার হাত থেকে বাঁচতে পারেনি আত্মীয়-স্বজনরাও।
ইফতেখার হোসেন সাভারের ফুলবাড়িয়া এলাকার অ্যাডভান্স পুলিশ টাউনের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রাইম ব্যাংকের লোন শাখায় কর্মরত রয়েছেন। ভুক্তভোগী মঞ্জুরুল হক ঢাকার লালবাগ এলাকার মৃত রেজাউল হকের ছেলে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী মঞ্জুরুল হক ঢাকার লালবাগ এলাকায় নিজস্ব জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালে দাদা বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ খানের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তিতে ভুক্তভোগীর জায়গায় ১০ তলা ভবন নির্মাণ হলে অর্ধেক আব্দুল্লাহ খান ও অর্ধেক ভুক্তভোগীর পাওয়ার কথা থাকলেও চুক্তি পূরণ করেননি দ্বিতীয় পক্ষ। আব্দুল্লাহ খান তার অর্ধেক অংশের কাজ সম্পন্ন করে সেটি বিক্রি করেন। কিন্তু ভুক্তভোগী মঞ্জুরুল হকের অংশের কাজ সম্পন্ন না করে ২০২১ সালে তিনি সটকে পড়েন। চুক্তি অনুযায়ী আব্দুল্লাহ খানের কাছ থেকে মঞ্জুরুল হক ৬০ লাখ টাকা পাওনা হন। এই টাকা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ইফতেখার হোসেন বিভিন্ন মেয়াদে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৯ লাখ ৫ হাজার টাকা নেন। যার প্রমাণপত্র ভুক্তভোগীর সংরক্ষণে রয়েছে। পরে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তালবাহানা শুরু করেন। এমনকি ওই ৯ লাখ টাকা ফিরিয়ে না দিয়ে নানা রকম হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইফতেখার হোসেন বলেন, আমি মঞ্জুরুল হকের সঙ্গে আগামীকাল বসব। আগামীকাল এ ব্যাপারে সমাধান করে ফেলব। আশা করি আগামীকালই সমাধান হয়ে যাবে।
প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখার ম্যানেজার মো. ফিরোজ আলম বলেন, আমরা ভুক্তভোগীর দেওয়া লিগ্যাল নোটিশ পেয়েছি। এ ব্যাপারে ওই কর্মকর্তাকে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছি। তাকে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। প্রাইম ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বক্তব্য দেবেন।
সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available