বিশেষ প্রতিনিধি, গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরীর সাইনবোর্ড এলাকায় আওয়ামী নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলির ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আধিপত্যের জানান দিতে শোডাউনের (মহড়া) অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর গাছা মেট্রো থানা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও নগরীর ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে মোহাম্মদ আলী আওয়ামী সরকারের আমলে ছাত্রলীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঝুট বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে মরিয়া ছিলেন কৌশলে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আ. লীগ নেতাকর্মীদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও বেশ খ্যাতি রয়েছে তার।
এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল ১০টায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও সাইনবোর্ড এলাকার বিভিন্ন শিল্পকারখানার সামনে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীতের নিয়ে মহড়া (শোডাউন) দেন মোহাম্মদ আলী ও তার সহযোগীরা। এতে ওই এলাকায় ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করেন তিনিসহ মহড়াকারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, মোহাম্মদ আলী ও হাফিয গত কয়েকদিন ধরে ইন্টারস্টফ, নর্প ও রিয়াজ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে চিহ্নিত ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করে আসছেন। এমন আতঙ্ক থেকে পরিত্রাণ চান স্থানীয়রা। অন্যদিকে নিজ এরিয়া ৩৩নং ওয়ার্ড ব্যতীত ৩৫নং ওয়ার্ডে এসে মহড়া এটা একটি অশুভ লক্ষণ।
গাছা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এএসএম নাইমসহ অন্যান্য ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দদের সাথে কথা বলেও জানা যায়, তিনি আ. লীগ নেতাদের সাথে ৭০/৩০ ভাগ শেয়ারে ব্যবসায়িক রফাদফা করে চালিয়ে যাচ্ছেন বাণিজ্য। এর ধারাবাহিকতায় আধিপত্যের জানান দিতেই তিনি মাঝে মধ্যে মহড়া দিয়ে থাকেন।
মোহাম্মদ আলির মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ গাছা থানা বিএনপি আমার বাণিজ্য দখলে এর আগে আ. লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে মহড়া দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবারও তাদের মহড়া দেয়ার সংবাদ পাই। এর প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষের মহড়া বানচাল করতেই আমরা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে সড়ব ছিলাম। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমি সব চেয়ে মামলা হামলার শিকার হয়েছি।
পরবর্তীতে বিএনপি নেতা বাবুল ও কামাল উদ্দিনের মুঠোফোনে বুধবার রাতে একাধিকবার কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। বৃহস্পতিবার সকালে একাধিকবার কল করলেও তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার মুঠোফোনে বলেন, মহড়া দেয়া সম্পূর্ণ নিষেধ রয়েছে দলীয় সিদ্ধান্তে। এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available