ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিদের মারধরের ঘটনায় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্ব হরিগাছা খান বাহাদুর সালেহা মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল মান্নান। ১০ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল মান্নান জানান, তিনি বিশ্বহরিগাছা খান বাহাদুর সালেহা মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার মৌলভি। মসজিদটি ২০২০ সালে খান কুদরত-ই-সাকলায়েন এবং তার পরিবার সম্পূর্ণ আর্থিক সহায়তায় নির্মাণ করেন। তবে মসজিদ নির্মাণের শুরু থেকেই ইকবাল কায়েস নয়ন, রায়হানসহ কিছু ব্যক্তি নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি করেন এবং মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালে মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ইকবাল কায়েস এবং তার সহযোগীরা মসজিদের ভিতরে ভাঙচুর চালায় এবং অশোভন আচরণ করে। এ ঘটনায় একাধিকবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর মাগরিবের নামাজের পর রেজানুর ইসলাম ঠান্ডুর নেতৃত্বে কয়েকজন মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় এবং মসজিদের গেট ভাঙার চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, ৪ জানুয়ারি ২০২৫ সালে পুনরায় রেজানুর ইসলাম ঠান্ডুর নির্দেশে ইমরুল কায়েস, ইমরান কায়েস এবং তাদের সহযোগীরা তাকে মারধর করে মসজিদ থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেয়। এ সময় মুসল্লি আব্দুস সালামকেও মারধর করা হয়। বারবার এ ধরনের ঘটনার কারণে তিনি মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইমরুল কায়েস বলেন, ইমামকে নামাজ পড়তে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল আলম বলেন, মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছি। বাদী পক্ষ প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করতেই পারে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available