পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে ইপিজেডের কম্পিউটার অপারেটর মেহেদী হাসান নাইম (২০) হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১১ জানুয়ারি শনিবার বেলা ১২টার দিকে নাইমের বাড়ির সামনে গোকুলনগর এলাকার মহাসড়কে পরিবারসহ সহস্রাধিক এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে এসব কর্মসূচি পালিত হয়। মেহেদী হাসান নাইম উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের গোকুলনগর গ্রামের মাসুদুল হক মুক্তারের ছেলে।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধে সড়কের দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভকারীরা ঈশ্বরদী ইপিজেডের আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানির এডমিন মিজানুর রহমান, ম্যানেজার মশিউর রহমানসহ হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নিহত নাইমের পাঁচ মাসের অন্ত:সত্তা স্ত্রী রিমি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, নাইমের দক্ষতার কারণে কর্তৃপক্ষ তাকে পদোন্নতির জন্য মনোনীত করেন। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের এডমিন মিজানুর রহমান, ম্যানেজার মশিউর রহমান, হাবিব, প্রান্ত ও সজিবসহ কয়েকজন এ পদোন্নতি মেনে নিতে পারেনি। ঘটনার দিন তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা মারধর করে নাইমকে গুরুতর আহত করে। এতে নাঈম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে ইপিজেড হাসপাতালে পরে রাজশাহীতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
রিমি আরও বলেন, নাইম মৃত্যুর আগে কারা তাকে মারধর করেছে এবং জড়িতদের কথা বলে গেছে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে রিমান্ডে আনতে হবে এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় নিহত নাইমের বাবা মুক্তার হোসেন, মা চম্পা বেগম, সামাজিক সংগঠন মানাবের মাসুম পারভেজ কল্লোল, আউয়াল কবীর, আলিক হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতা তানজিদুর রহমান দেহান, মেহের হোসেন সৈকতসহ স্বজন ও সহস্রাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নাইম ঈশ্বরদী ইপিজেডের আইএইচএম গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল কোম্পানির কম্পিউটার পদে কর্মরত ছিলেন। নাইমের পরিবারের দাবি গত ৮ জানুয়ারি বুধবার অফিসে যাওয়ার পর পদোন্নতির বিষয় নিয়ে অফিস স্টাফদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় প্রথমে ৬ জনকে নামীয় আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হলেও পরে অদৃশ্য কারণে হাবিব, প্রান্ত ও সজিবকে নামীয় এবং অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ ১ নম্বর আসামি ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী অ্যাডমিন হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করেছে।
এ বিষয়ে এডমিন মিজানুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রং নম্বর বলে কেটে দেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ১ নম্বর আসামি হাবিবকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে আনা হবে। প্রকৃত ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত আছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available