মোহাম্মদ শফিক, জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার: রাখাইন রাজ্যের মংডুতে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ দেখতে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
৫ মে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা টেকনাফের জেটিতে আসেন। সকাল ৯টার দিকে তারা নৌপথে স্পিডবোটে রওনা হন তারা।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ২০ জন রোহিঙ্গা, একজন অনুবাদক ও ছয়জন বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছেন। রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলে তিনজন নারী সদস্যও রয়েছেন। নিরাপত্তায় বিজিবির দুটি স্পিড বোটও ১৬ জন বিজিবি সদস্য রয়েছে।
কমিশনার মো.মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমরা রাখাইনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যাওয়া হচ্ছে। মূলত দেশটির সরকার সম্ভব্য প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের জন্য যেসব সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলো দেখানোর পাশাপাশি সেখানকার পরিস্থিতি দেখতে মিয়ানমারের রাখাইন পরিদর্শনে যাওয়া হচ্ছে।
প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকা অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপ-সচিব) খালিদ হোসেন বলেন, তিন নারীসহ রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল নিয়ে আমরা রাখাইন মংডুতে ৯ টার পর রওনা হয়েছি। বিকেলে ফেরার কথা রয়েছে।
রাখাইনে সফরে থাকা রোহিঙ্গা মো. সেলিম জানান, মূলত আমরা সেখানে (রাখাইনে) রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করা সেন্টারগুলো দেখবো। এছাড়া সেখানকার আশপাশের পরিস্থিতিও ঘুরে দেখার কথা রয়েছে। এ যাত্রা আনন্দের কারণ প্রায় ছয় বছর পর অন্তত নিজ দেশে (মিয়ানমার) দেখার সুযোগ হবে।
বর্তমানে চীনের মধ্যস্থতায় প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা চলছে। এর অংশ হিসেবে গত ১৫ মার্চ মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মংডু আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউয়ের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসে। সে সময় সাত দিনে ১৪৭ টি পরিবারের প্রায় ৫০০ রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই শেষে ২২ মার্চ তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল যে এক হাজার ১৭৬ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। পাইলট প্রকল্পের আওতায় তাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available