ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে আল-জামেয়াতুল ইসলামিয়া আজাদী বাজার মাদ্রাসা হতে দুর্নীতির দায়ে বিতাড়িত সাবেক মোহতামিম মাওলানা হাবীবুল্লাহ আজাদী কর্তৃক পুনরায় মাদ্রাসা দখলের চক্রান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ১৩ জানুয়ারি রোববার রাতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মুফতি আবদুল হক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনীতির পট পরিবর্তনের পরে বিভাড়িত মুহতামিম হাবিবুল্লাহ আজাদী কিছু দুষ্টচক্রের সহযোগিতায় বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করলে এলাকাবাসী সজাগ হয়ে উঠে। এলাকাবাসী ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পূর্বের সকল ঘটনা উল্লেখ্য পূর্বক মাওলানা হাবীবুল্লাহ আজাদীর বিরুদ্ধে দরখাস্ত প্রদান করেছিলেন। ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সচেতন ধর্মপ্রাণ মানুষ এলাকাবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত প্রদান করেন। অত্র জামেয়ার নির্বাহী পরিচালক কর্তৃক ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর মাদ্রসা শিক্ষক ও ছাত্রদের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন। সার্বিক বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে কয়েকবার সংবাদ সম্মেলনও করা হয়।
বর্তমানে মাওলানা হাবীবুল্লাহ আজাদী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীরের কন্যার জামাতা হওয়ার কারণে তাকে ব্যবহার করে প্রশাসনকে প্রভাবিত করে বেআইনিভাবে মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান মোহতামিম এবং নির্বাহী মুহতামিমকে অপদস্থ করার জন্য বিভিন্ন অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ৫ জানুয়ারি ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নতুনভাবে শুরা বৈঠক আহ্বান করার চিঠি প্রেরণ করেন। অথচ নতুনভাবে শুরা বৈঠক আহ্বান করার কোনো উপলক্ষ সৃষ্টি হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক উক্ত চিঠি প্রেরণের আইনত কোনো ভিত্তিও নেই।
উক্ত চিঠির কারণে অত্র জামেয়ার পরিচালক ও নির্বাহী পরিচালক সাহেবের সামাজিক মর্যাদায় আঘাত এসেছে। তাই অত্র জামেয়ার নির্বাহী পরিচালক মাওলানা জাফর উল্লাহ সাহেব ৮ জানুয়ারি ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একখানা লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। বর্তমান মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসার উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন বৈঠক করেছেন এবং তৎ রেজুলেশনও রয়েছে। মাদ্রাসার মোহতামিম ও নির্বাহী মুহতামিম আইন সম্মতভাবেই দায়িত্ব পালন করতেছেন। তথাপিও কওমি মাদ্রাসা বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসার কর্তৃক সুরা বৈঠক আহ্বান করার চিঠি প্রেরণের আইনত কোনো সুযোগ নেই। মাদ্রাসার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে মুহতামিমের পরামর্শে অত্র জামেয়ার নির্বাহী পরিচালকদ্বয় আদালতের দারস্ত হন এবং আদালত পূর্বে বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরিত অভিযোগের ডকুমেন্টস ও কাগজ পত্রাদি বিচার বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্টদেরকে শুরা আহ্বান না করার জন্য শোকজ জারি করেন।
এমতাবস্থায় ঐতিহ্যবাহী এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এবং এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আদালতে বিবেচনাধীন বিষয়ে স্বেচ্ছাচারী ও হটকারী কোনো সিদ্ধান্তে শুরা বৈঠকের নামে মাদ্রাসা দখলের চক্রান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপতৎপরতা বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
এসময় মাদ্রাসার নির্বাহী পরিচালক মাওলানা জাফর উল্লাহ, নুরুল আলম মেম্বার, মোহাম্মদ রফিক, মাও. সোলাইমান, মাও. ইলিয়াছসহ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available