মোহাম্মদ শফিক, জেলা প্রতিনিধি (কক্সবাজার): কক্সবাজারের টেকনাফের দুর্গম পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ ও ডাকাতি, আন্তর্জাতিক মানবপাচার ও সন্ত্রাসীর গোষ্ঠীর অন্যতম হোতা ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছালেহ উদ্দীন ও তার ৬ সহযোগী ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৫ মে শুক্রবার রাতে ডাকাতির প্রতিকালে টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এসময় ঘটনাস্থল হতে ১টি বিদেশী পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি, দেশীয় তৈরি ৩টি একনলা বড় বন্দুক; ২টি একনলা মাঝারি বন্দুক, ৩৬টি একনলা ছোট বন্ধুকসহ মোট ১১টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ১৭ রাউন্ড ভাজা কার্তুজ, ৪ রাউন্ড মানি কার্তুজ, ২টি ছুরি ও ৯টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
আটকরা হলেন, হাফিজুর রহমান (৩০) ও তার সহযোগী নুরুল আলম প্রকাশ নূরু (৪০), আক্তার কামাল প্রকাশ সোহেল(৩৭), নুরুল আলম প্রকাশ লালু (২৪), হারুনুর রশিদ (২৩), রিয়াজ উদ্দিন ও বারি (১৭)।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শনিবার দুপুরে র্যাব-১৫-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে হাফিজুর রহমান ছালেহ ওরফে ছলেহ ডাকাত হালের সব ডাকাতি, মানবপাচার, অপহরণ, অস্ত্র-মাদক সরবরাহসহ নানা অপরাধ তার নেতৃত্বে সংগঠিত হতো। এছাড়া ছালেহর নেতৃত্বে টেকনাফের শালবাগান পাহাড়, জুম্মা পাড়া ও নেচারি পার্ক এলাকা, বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া পাহাড়, বড় ডেইল পাহাড়, কচ্ছপিয়া পাহা জাহাজপুরা পাহাড়, শিলখালী পাহাড় এলাকায় অবস্থান করে বিভিন্ন অপরাধ পরিচালনা করত। কখনও অটোরিক্সার চালক এবং কখনও সিএনজি চালক হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন কৌশলে তারা কক্সবাজারের হ্নীলা, হোয়াইক্যং, উনচিপ্রাং, শামলাপুর, মোড়া ও টেকনা ইত্যাদি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের টার্গেট করে অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায় করে। সে আন্তর্জাতিক মানবপাচার ও সন্ত্রাসী গ্রুফের সদস্য হয়ে এ এলাকায় কাজ করে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান ওই র্যাব কর্মকর্তা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available