নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন, যুবদল নেতা এমদাদ শিকদার তার লোকজন দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জসিম দিপুকে মারধরের প্রতিবাদে ও তাদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা কলেজ ছাত্রদল।
১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা কলেজ ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে গাজীপুরের ভবানীপুরে মুক্তিযোদ্ধা কলেজ প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কলেজ শাখা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলাল মিয়া, ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা মুক্তিযোদ্ধা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জসিম দিপুসহ মুক্তিযোদ্ধা কলেজ ছাত্রদল ও ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি করে আসছি। বিগত ফ্যাসিস্ট পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আমি আমাদের দল বিএনপি ঘোষিত যেকোনো কর্মসূচিতে রাজপথে ছিলাম এখনো আছি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আমজাদ হোসেন ভবানীপুরে ইউনিম্যাক্সসহ কয়েকটি ফ্যাক্টরিতে ঝুট ব্যবসা করে আসছে বিগত আওয়ামী লীগের সময় থেকেই।
এই আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় বিএনপি নেতাদের নামের তালিকা নিয়মিত থানায় দিতেন এবং বিএনপি নেতাদের গ্রেফতারে থানা পুলিশকে সহযোগিতাও করতেন। এমনকি ছাত্র জনতার জুলাই আন্দোলন চলাকালে ৩, ৪ ও ৫ আগস্ট সকাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভবানীপুরে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও আমজাদ নিয়মিত ঝুট ব্যবসা করে আসছিলো।
সহযোদ্ধাদের নির্যাতন কারী, ছাত্রজনতার রক্ত মাখা আওয়ামী লীগের সহযোগী আমজাদকে ঝুট ব্যবসা না করার কথা বললে আমজাদ সামনে নিয়ে আসেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমদাদ শিকদারকে। এমদাদ শিকদার আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদের সাথে পার্টনারশিপে ঝুট ব্যবসা নিয়েই তার ছোট ভাই মাদক ব্যবসায়ী এনামুল সিকদারকে নিয়ে একটি সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট নিয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। আহত অবস্থায় গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়ে জয়দেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এমদাদ শিকদার বার বার বলেন ঝুটের এই টাকার ভাগ আমাকে ইউনিয়ন যুবদল, উপজেলা যু্বদল, জেলা যুবদলকেও দিতে হয়। বিষয়টি লিখিত অভিযোগ করি যুবদলের কাছেও। কিন্তু ৯ জানুয়ারি আমার উপর হামলা হলেও এর কোন বিচার আমি পাইনি। এমদাদ শিকদার ও তার ভাই মাদক ব্যবসায়ী এনামুল শিকদার কিছু মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট করেছে। এরা যুবদলের নাম ব্যবহার করে মানুষের দোকানপাট, ঘর দখলসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত। ৫ আগস্টের পর যুবদলের নাম ব্যবহার করে এই সিন্ডিকেট দখল বাণিজ্যে নেমে পড়ে। যা যুবদল এমনকি দেশের গণমানুষের দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সুনাম স্থানীয়ভাবে চরম ভাবে ক্ষুণ্ন করছেন। আমজাদ, এমদাদ শিকদার ও তার ভাই এনামুল শিকদার আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতা ও চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি। এই বিষয়ে আমি জয়দেবপুর থানা, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও যুবদল নেতৃবৃন্দের কাছে আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনকারী যুবদল নেতা এমদাদ ও মাদক ব্যবসায়ী এনামুল শিকদারসহ তাদের সিন্ডিকেটের সকলের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, বিএনপি ও যুবদলের কাছে এমদাদ শিকদারের বহিষ্কার দাবি করেন। একই দাবি করেন ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আলাল মিয়াও।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available