চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাসনে স্বামী মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলায় অভিমান করে দেড় বছরের এক ছেলেকে কোলে নিয়ে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন মাইমুনা বেগম সুখী নামে এক নারী। মা বেঁচে গেলেও বেঁচে নেই শিশু পুত্র ইব্রাহিম।
১৯ জানুয়ারি রোববার দুপুরে উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেন ওই নারী। পরে স্থানীয় দুই যুবক মা-শিশু ছেলেকে নদীতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশু ইব্রাহিম জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রহিমের ছেলে। ওই নারী চরফ্যাসন পৌরসভা শরিফপাড়া এলাকার মো. ইয়াছিনের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী শাকিল জানান, দুপুরে ওই নারী ছেলেকে কোলে নিয়ে বেতুয়া মেঘনা নদীর পাড়ে বসেছিলেন। কিছুক্ষণ পরে দেখতে পান ওই নারী ছেলেসহ নদীতে হাবুডুবু খাচ্ছেন। তাৎক্ষণিক তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় মা-ছেলেকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে যান। পথেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
সুখীর মা তাছনুর জানান, ৪ বছর আগে আবদুর রহিমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার মেয়ে বিয়ে দেন। প্রথম সন্তান জন্মের পরপরই জামাই রহিম ও তার পরিবারের সদস্যরা মেয়েকে মানুষিক নির্যাতন শুরু করেন। আজ দুপুরে মেয়ে-জামাই আমাকে ফোনে জানতে চান মাইমুনা আমার বাড়িতে আসছে কী না? পরে খবর পান, মেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে।
চরফ্যাসন থানার উপ-পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন জানান, নিহত শিশুর পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available