ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ইটনা সদর ইউনিয়নের এরশাদ নগর গ্ৰামের সামনের ধনু নদী দিনদিনই ভয়ংকর রূপধারণ করছে। সকাল-সন্ধ্যা তিলতিল নদী ভাঙ্গনে এখন প্রায় দুই হাজার মানুষের দুই শতাধিক বসতভিটাসহ বনবাঙ্গা সরকারি আবাসন প্রকল্প হুমকির মুখে পরেছে।
জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী কয়েক বছরে এরশাদ নগর গ্ৰাম এবং সরকারি আবাসন প্রকল্পের ১৬টি ঘর বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২২ জানুয়ারি বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, গ্ৰামের প্রায় কয়েক একর আবাদি জমি ভাঙতে ভাঙতে এখন গ্ৰামে এসে লেগেছে। ইতোমধ্যে কিছু বাড়িঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, নদী ভাঙন কয়েক বছর ধরেই তীব্র আকার ধারণ করেছে। জরুরি ভিত্তিতে গ্ৰামের সামনে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের দাবির ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এরশাদ নগরের মো. ফুল মিয়া জানান, কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এতদিন ফসলের জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েছে, এখন বাড়ির সামনে এসেছে। জরুরি ভিত্তিতে গ্ৰাম প্রতিরক্ষার স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাড়িঘর নদীতে বিলীন হবে।
চাঁন মিয়া নামের স্থানীয় আরেক ব্যক্তি বলেন, নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বাড়ির কাছে আসতেছে। সরকারের কাছে আকুল আবেদন- অতি তাড়াতাড়ি যেন নদী ভাঙন ফেরানোর একটা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এখানকার হাজার হাজার মানুষ চরম বিপদের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি।
সরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধাভোগী কুলসুম বলেন, সরকার আমাদের ভূমিহীনদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দিয়েছে, এখন বাড়িঘর নিয়ে চিন্তায় আছি না জানি কখন নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। দিনদিনই নদী ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির সামনে আসতেছে। তাড়াতাড়ি সরকার ব্যবস্থা নিলে আমাদের রক্ষা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ইটনা উপজেলার বিভিন্ন গ্ৰামকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য স্থায়ী গ্ৰাম প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সদর ইউনিয়নের বড় বাজার জেটি ঘাট থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত এবং এলংজুরী ইউনিয়নে গ্ৰাম প্রতিরক্ষা স্থায়ী ব্যবস্থার কাজ শুরু হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম জানান, এরশাদ নগর গ্ৰামের নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে বরাদ্দ চাওয়া হবে এবং বরাদ্দ প্রাপ্তির সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available