হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কালনী গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাজী দিপু মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এন এম সাজেদুল হক।
২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে তিনি কালনী গ্রামে গিয়ে সংঘর্ষের স্থান পরিদর্শন করেন।
এ সময় নিহত কাজী দিপুর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে তাদের সান্ত্বনা দেন এবং জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। এছাড়াও তিনি আসামী পক্ষের ভাংচুর করা বাড়িঘর পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপারের সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ (সদর সার্কেল) মো. শহিদুল হক মুন্সী, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির।
উল্লেখ্য, কালনী গ্রামের কাজী ফরিদ মিয়া এবং ইউপি মেম্বার লুৎফুর রহমান শাস্তু মিয়ার গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরে ২২ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে কাজী ফরিদ মিয়ার পক্ষের কাজী দিপু মিয়া নিহত হন। আর উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। দিপু মিয়া নিহতের ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ইউপি মেম্বার লুৎফুর রহমান শাস্তু মিয়ার পক্ষের লোকজন পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান।
ঘটনার পর থেকেই কাজী ফরিদ মিয়ার পক্ষের লোকজন ইউপি সদস্য শাস্তু মিয়া পক্ষের ৩০/৩৫টি বাড়ি ভাংচুর করেছে এবং এসব বাড়ি থেকে ধান, চাল, গরু, ছাগল, হাঁস, মোরগ, স্বর্ণলংকার, আসবাবপত্রসহ প্রায় কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available