লালমনিরহাট প্রতিনিধি: দিনে-রাতে নিজের ইচ্ছা মত রেলওয়ের গাছ কেটে ফেলছেন কর্মকর্তারা। এতে মানা হচ্ছে না ন্যূনতম কোনো বিধি-ব্যবস্থা। অথচ, এসব গাছ, বিল্ডিং এবং অন্যান্য অবকাঠামো সবকিছুই ব্রিটিশ আমলের। একদিকে রেল অন্য দিকে বিমানবাহিনী এই দুই ভূমিতেই গড়ে উঠেছে পুরো শহর। আর এ কারণেই লালমনিরহাটকে রেলের শহর বলা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে রেলের বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছে কোনো টেন্ডার ছাড়াই। গাছ কাটার বিষয়ে বনবিভাগকে অবগত করতে হয় এবং নিতে হয় অনুমতি। বন বিভাগ সহ কয়েকটি দপ্তরের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে গাছ কাটা যাবে কি যাবে না। কিন্তু রেলের গাছ কাটার বিষয়ে কোনো কিছুই জানানো হয়নি বন বিভাগকে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে বন বিভাগ দেখে। তারাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে।
জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে রেল বিভাগ থেকে কোনো কিছু কখনোই জানানো হয়নি।
রেলের বিভাগীয় প্রকৌশলী (ডি এন) নাজিব কায়শার তার বাংলোতে গাছ কেটেছেন। পর পর তাকে কয়েকদিন অফিসে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে কথা বলতে গিয়ে গাছ কাটার প্রসংগ আসতেই তিনি ‘ব্যাস্ত আছি, পরে কথা বলবো’ বলে ফোন কেটে দেন। এরপর টানা দুদিন কোনো ফোন রিসিভ করেননি।
লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ম্যানেজার আব্দুস সালামও ফোন ধরেননি দুইদিন।
অভিযোগ আছে, রেলের এই কর্মকর্তা স্থানীয় কিছু লোকজনকে ম্যানেজ করেই এসব করছেন। এ বিষয়ে তার চেম্বারে কথা হয়। চেম্বারে ধারণ করা ভিডিওতে তার বক্তব্য উঠে আসে। আমার বাংলোতে প্রবেশ করেন কী করে এমন প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, আমি গাছ কাটিনি। গাছের পাতা পড়ে ছাদ নষ্ট হচ্ছিলো। ডাল কাটতে গিয়ে গাছ কেটে ফেলেছে।
একাধিক গাছ দফায় দফায় কাটা, টেন্ডার, কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র, বন বিভাগের ছাড়পত্র এমন কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেননি এই বিভাগীয় প্রকৌশলী।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available