নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে ডাকাতির ৬ দিনের মাথায় ক্লুলেস ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও ডাকাত চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান । এসময় অতি. পুলিশ সুপার মো. আমিরুল ইসলাম, অতি. পুলিশ সুপার নীলফামারী সদর ও জলঢাকা সার্কেল মো. মোস্তফা মঞ্জুর, সহকারী পুলিশ সুপার জয়ন্ত কুমার সেন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুক্তারুল আলমসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ১ মে জেলার ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা এলাকার ব্রাহ্মন পাড়ায় পুরহিত শ্রী বিজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে ডাকাতি হয় । এসময় ডাকাতরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে তার স্ত্রী, কন্যা ও ছেলেকে অস্ত্রের মুখে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে। পরে তাদের আলমারি ভেঙ্গে নগদ ১ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা, ২ ভরি ২ আনা স্বর্নালংকার, ৪ ভরি রুপার অলংকার, ৩ টি কাসার প্লেট, ৪ টি কাসার বাটি, ৪ টি গ্লাস, ৫ টি মোবাইল সহ আনুমানিক ২ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। পরে ৭ মে আসামিদের গ্রেফতারে এক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে উপজেলার সিংদই বেড়াডাঙ্গা জেলেপাড়া থেকে ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য শ্রী অনিল চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে নীলফামারী সহ অন্যান্য জেলায় আরো ৪ টি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। একই দিনে ডোমার থানার ছোট রাউতা থেকে রঙ্গিয়া দাসকে গ্রেফতার করা হয়। রঙ্গিয়া দাস আদালতে ডাকাতির ঘটনার সাথে তার নিজের জড়িত থাকার ঘটনা বিস্তারিত উল্লেখ করে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। পরে তাকে জেল হজতে প্রেরণ করা হয়। এর একদিন পর ৮ মে গ্রেফাতার করা হয় সৈয়দপুরের নজু মামুদকে।
তার কাছ থেকেও ডাকাতি ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available