বাদল হোসেন: পটুয়াখালীর গলাচিপায় সু-স্বাধু আঙ্গুর চাষে সফলতা পেয়েছেন মো. হাসিবুল ও রুবিনা দম্পতি। বাগানের ফল ও চারা বিক্রি করে তারা আয় করেছন প্রায় ৫ লাখ টাকা। কৃষি বিভাগ থেকে এরই মধ্যে এ বাগান থেকে চারা ক্রয় করে তা স্থানীয় ৬০ জন কৃষকের মাঝে বিতারণ করা হয়েছে।
এক সময় ধানের ওপর নির্ভরশীল থাকলেও এখন ফল চাষের দিকে ঝুকেছেন পটুয়াখালী জেলার কৃষকরা। গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের হাসিবুল পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক এবং তার স্ত্রী একজন গৃহিনী। তারা ইউটিউব দেখে ২০২০ সালে নিজেদের দেড় একর জমিতে আঙ্গুর চাষ শুরু করেন। প্রথমদিকে দেড় লাখ টাকা খরচ হলেও এবারের মৌসুমে চারা ও ফল বিক্রি করে প্রায় ৫ লাখ টাকা আয়ের প্রত্যাশা করছেন এ উদ্যোক্তা দম্পতি। প্রতিদিনি তাদের এ বাগান দেখতে দুরদুরন্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ।
যশোর থেকে সংগ্রহ করেছেন সংসং সুপার, চারিকাসহ কয়েক জাতের প্রায় পাঁচ শতাধিক আঙ্গুর চারা। প্রথমদিকে ঝুকি থাকলেও নিবিড় পরিচর্যা আর যত্নে মাত্র ১ বছরেরই ধরা দেয় সাফল্য। আগামিতে বাগান থেকে আরও উৎপাদন বাড়ার প্রত্যাশা করছেন তারা। এরই মধ্যে তাদের এ সফলতা দেখে আঙ্গুর চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেকেই।
হাসিব বলেন, প্রথমে আমি একটু দ্বিধার মধ্যে ছিলাম। অনেকেই বলেছে আঙ্গুর চাষ এতো সহজ না, কিন্তু আমি হাল ছেড়ে দেই নি। আমার স্ত্রী রুবিনা আঙ্গুর চাষে আমাকে সবসময় অনুপ্রেরনা দিয়েছে।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা আ. করিমের সাথে। তিনি বলেন, মানুষের কাছ থেকে শুনে হাসিবের আঙ্গুর বাগানটি দেখতে এসেছি। বাগানের আঙ্গুর বাতাসে দোল খাচ্ছে দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। বাগানের ফলগুলো দেখতে যেমন বড় স্বাদেও তেমনি অনেক মিষ্টি । আমি নিজেও এমন একটি আঙুরের বাগান করতে চাই।
পটুয়াখালী কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায় আঙ্গুর বাগান করে সফলতা পেয়েছেন হাসিব ও রুবিনা দম্পত্তি। হাসিবের এ বাগান থেকে চারা ক্রয় করে এরই মধ্যে প্রায় ৬০ জন কৃষককে তা বিতারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এ বাগানের আঙুর আকারে বেশ বড় এবং খেতেও অনেক সুস্বাদু।
স্থানীয় কৃষকদের মাঝে আঙ্গুরের চাষ ছড়িয়ে দিতে কৃষি বিভাগ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available