রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটিতে রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির এক নেতার নাম না থাকা নিয়ে ফেসবুকে তিরস্কার করে পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
২ ফেব্রুয়ারি রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজীবপুর উপজেলা বাজারের মেইন গলিসহ একাধিক স্থানে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রোস্তম মাহমুদের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।
বিএনপির একাধিক নেতা ও কর্মী জানান, রোববার কেন্দ্র হতে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির কেউই স্থান পাননি।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমানের নাম কমিটিতে না থাকায় উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রুস্তমের সমর্থক সহিদুল নামে এক কর্মী ফেসবুকে তিরস্কার করে পোস্ট দেন।
ওই পোস্টের জেরে সন্ধ্যায় রাজীবপুর সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় গেটের সামনে সহিদুলের উপর হামলা চালায় মোখলেছের সমর্থক কয়েকজন। খবর পেয়ে রুস্তম সমর্থকরা রাজীবপুর পাঁচ রাস্তা মোড়ে মোখলেছুর রহমানের অনুসারীদের মারধর করেন।
এর জেরে রাজিবপুর বাজারেও হামলার ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে টাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে ইয়াকুব আলী(৩২), কাচারি পাড়া গ্রামের ফুল মিয়ার পুত্র হারুন অর রসিদ(১৮), কাচারি পাড়া গ্রামের মৃত শাহার আলীর পুত্র শরিফুদ্দিন (৪০) ও সাংবাদিক সুজন মাহমুদ আহত হন। আহতরা রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ইয়াকুব আলীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সুজন মাহমুদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে মোখলেছুরের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক সুজন জানান, পূর্বে করা সংবাদের জেরে বিএনপির কয়েকজন মিলে তার ওপর হামলা করেন। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে একটি দোকানের ভেতরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রুস্তম মাহমুদ বলেন, ‘আমি এলাকাতে ছিলাম না। আর এখানে কোনো গ্রুপ নেই। তাদের সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। একজন গুরুতর আহত। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমি ঢাকায়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর চিকিৎসার চলছে।’
রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘ফেসবুকে পোস্ট করা নিয়ে সংঘর্ষটি হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়। জানতে পেরে নিজেই ঘটনাস্থলে যাই। উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়া হয়। এখন পরিস্থিতি ভালো।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available