সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: স্যার না বলায় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ. ফ .ম আনোয়ার হোসেন খান নিজ কার্যালয়ে চটে গেলেন এক ভুক্তভোগীর উপর।
এসপি ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে থাকেন, ‘যান আমার কি ছিড়তে পারেন, যান না!’ এসপির এমন অপেশাদরিত্ব আচরণ ও অশ্লীল কথা বলার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলসহ দেশ-বিদেশে থাকা নেটিজেনারা বিভিন্ন ফেসবুকে আইডিতে পোস্ট করার কারণে ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগীকে এসপি আনোয়ার হোসেন বলছেন, ‘আজ চাকরি ছাড়লে কাল ইলেকশন করতে পারবো, বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ আছে।’
৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে ‘স্যার’ সম্বোধন না করে ‘সাহেব’ বলায় এসপি এমন দম্ভোক্তি করেন। এসময় গণঅধিকার পরিষদের এক নেতাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি।
পরে পৌর শহরের হোসেন বখত চত্বরে গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসপিকে প্রত্যাহারের দাবি জানান দলটির নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, ২০২৩ সালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে যান তারা। এসময় ‘স্যার’ সম্বোধন না করে ‘সাহেব’ বলায় ক্ষেপে যান এসপি।
পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘আমি আজ চাকরি ছাড়লে কাল ইলেকশন করতে পারবো। বিএনপির সবচেয়ে বড় বড় নেতার সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে’। এ সময় উত্তেজিত হয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতা এম এস মাসুম আহমদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন এবং ঘাড় ধরে বের করে দিতে বলেন তিনি। এসপি বলতে থাকেন, ‘যান আমার কী ছিড়তে পারেন, যান না!’
বুধবার রাতে সুনামগঞ্জ গণঅধিকার পরিষদ নেতা তিমন চৌধুরী বলেন, ‘মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা কথা বলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু উনাকে স্যার না বলে সাহেব বলতেই উনি চরমভাবে চটেন আমার উপর। আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে নাজেহাল করেন এসপি। ঘটনার সময় এসপির কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ-অপস) তাপস রঞ্জন ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available