ভোলা (উত্তর) প্রতিনিধি: ছোট কাল থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন ভোলার বাপ্তা ইউনিয়নের রাশেদ। প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পেয়েছিলেন উপবৃত্তি। এর পর থেকে আর হলো না পড়াশোনা। তখন থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে শিকলবন্দি রয়েছেন রাশেদ। তার এমন করুণ পরিণতিতে চিকিৎসার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন দিনমজুর বাবা।
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. হারুন আহমেদের ছেলে রাশেদ। ছোট বেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী। ঢাকার সাভারের পানপারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ভালোভাবেই পড়াশুনা করছিলেন তিনি। পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পাওয়ার পর ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারাতে শুরু করেন রাশেদ। চিকিৎসার সুযোগ না পাওয়ায় সময়ের সাথে অবস্থার আরও অবনতি হয়।
পরিস্থিতির চাপে পড়ে ঢাকার বাসা ছেড়ে নিজ জেলা ভোলায় পরিবার নিয়ে ফিরে আসেন তার বাবা হারুন আহমেদ। কিন্তু সেখানেও জীবন যুদ্ধ থামেনি। প্রতিদিন রাজমিস্ত্রীর কাজ করে মাত্র ৭০০ টাকা আয় করেন তিনি। অথচ, রাশেদের প্রতিদিনের ঔষধ ও চিকিৎসার খরচই প্রায় এক হাজার টাকা। অন্যান্য খরচ চালানো তো দূরের কথা ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারছেন না তিনি।
রাশেদের মা নিলুফা বেগম ছেলেকে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, চার ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয় রাশেদ। এক সময় পরিবারের গর্ব ছিলো। অথচ, আজ সে শিকলে বন্দি মানসিক ভারসাম্যহীন। দিনমজুর বাবা যখন কাজের সন্ধানে যান তখন তার মা একাই ছেলেকে সামলান।
সদর উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিরাজ আহমেদ বলেন, রাশেদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা জায়, স্থানীয় হৃদবান এক ব্যক্তির বসত ঘরে সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছেন রাশেদের দরিদ্র পরিবারটি। রাশেদের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে তার পরিবার।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available