দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার দৌলতখানে মো. জুয়েল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে ৭টি মহিষসহ আটক করেছে থানা পুলিশ।
১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা তাকে আটক করেন। তিনি নোয়াখালীর জনতা বাজার এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দ্বীপ জেলা মহিষ পালন একটি ঐতিহ্যগত পেশা। এখানকার আলোচিত হাজিপুর চর, মদনপুর চর, নেয়ামতপুর চর, এ তিনটি চরের মানুষ মহিষ পালন করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। প্রতিটি মহিষের বাথানে ১শ’ থেকে ৩শ’ পর্যন্ত মহিষ পালন হয়ে থাকে।
মদনপুর চরে গত তিন-চার মাসে মহিষের বাতান থেকে প্রায় ৫০- ৬০টি মহিষ, বেশ কয়েকটি গরু, ছাগল, ভেড়া চুরি হয়ে যায়। এতে মহিষ মালিকের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়াও হাজিপুর ও নেয়ামতপুর চর থেকেও বেশ কয়েকটি মহিষ চুরির ঘটনা ঘটে।
মদনপুর চরের মহিষ মালিক শাহে আলম জানান, এ পর্যন্ত তার দুইটি, লিসকনের দুইটি, ইসরাফিলের ৫টি, নোমানের দুইটি, ওই চর থেকে মহিষ চুরি হয়। এখনও মহিষের সন্ধান পাইনি তারা। রাতের আঁধারে মহিষের বাতান থেকে মহিষগুলো চুরি হয়। বর্তমানে তারা মহিষ পালনে আতঙ্কে ভুগছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হইনি। এমন অবস্থায় তারা মহিষ পালনে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। একদিকে মহিষের রোগবালাই অন্যদিকে মহিষ চুরি, এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মহিষ মালিকরা।
দৌলতখান উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ভুবন চন্দ্র হালদার জানান, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলবেন। তবে তিনি চরে মহিষ চুরির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, মদনপুর চরে এক মহিষ চোরকে স্থানীয়রা আটক করেছে। ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available