• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ৩০শে মাঘ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৫৪:৫৯ (12-Feb-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বুধবার ৩০শে মাঘ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৫৪:৫৯ (12-Feb-2025)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, জনবল সংকটেও থেমে নেই উৎপাদন

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিকাল ০৩:১০:১৯

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, জনবল সংকটেও থেমে নেই উৎপাদন

মাইনুল হক (নীলফামারী): জনবল সংকটে নুইয়ে পড়া সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। মারাত্মক জনবল সংকটেও উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে না। অথচ গত বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত দেশের এই বৃহৎ রেলওয়ে কারখানা ঢিমেতালে চলছিল। ছিলো না শ্রমিক কর্মচারীর মাঝে কোনো সমন্বয়। এমন অবস্থায় কোচ মেরামতের সংখ্যাও ক্রমশ নিচে নামতে থাকে। শক্ত ও নিষ্ঠাবান ব্যবস্থাপনার অভাবে ওই পরিস্থিতি বিরাজ করছিলো বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক কর্মচারী জানিয়েছে।

অচলায়তন অবস্থায় এই রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পান মোস্তফা জাকির হাসান। তিনি গত বছরের ২ অক্টোবর কারখানায় যোগদান করেন। দায়িত্ব নেয়ার চার মাস নয় দিনের মধ্যেই তিনি শ্রমিক কর্মচারীদের কাজের প্রতি মনোযোগ ফেরাতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে পুরোদমে চলছে উৎপাদন। রুটিন কোচ মেরামত বাদেও আসছে ঈদ-উল ফিতরে বাড়তি যাত্রী পরিবহনে বাড়তি কোচ নির্মাণে নিয়েছেন উদ্যোগ। ঈদে ঘরমুখো প্রায় এক লাখ যাত্রী পরিবহন করতে ১২০টি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঞ্জুরি পদের বিপরীতে বর্তমানে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কর্মরত রয়েছে শতকরা মাত্র ২৩ ভাগ জনবল। তাও প্রতিমাসে অবসরের কারণে কমছে। দুই হাজার ৮০০ জনবলের স্থানে এখন আছে সবেমাত্র ৭১০ জন। অথচ প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৪৫টি যাত্রীবাহী কোচের আউটটার্ন না হলে যাত্রী পরিবহনে মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতো। এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে তুলতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২১০ জন অস্থায়ী দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। তাও অন্যান্য সময়ের চেয়ে চাহিদার তুলনায় এ নিয়োগের সংখ্যা শতকরা ৪০ ভাগেরও কম। রাষ্ট্রের আর্থিক সংকটের কারণে অস্থায়ী জনবল নিয়োগেও কৃচ্ছতার আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে খবর মিলেছে।

অতিরিক্ত জনবল সংকট থাকার পরেও কোচ মেরামতের টার্গেট পূর্বের ন্যায় ধরে রাখার বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসে। আর তাহলো গত বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত এ কারখানায় ছিলো না কোনো চেইন অব কমান্ড। কে কখন কর্মস্থলে আসছে আর যাচ্ছে তার কোনো ছিলো না জবাবদিহিতা। ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক কর্মচারীদের বেশির ভাগেরই ছিলো কাজে ফাঁকি দেয়ার মানসিকতা। হর হামেশাই চুরি হতো কারখানার লোহা। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ছিলো না আইনের প্রয়োগ। ফলে কারখানায় কাজের গতি ছিলো বলতে গেলে অনেক মন্থর। এ অবস্থা থেকে উতরাতে সরকারের নীতি নির্ধারক মহল বিগত বছরের ২ অক্টোবর কারখানার ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব দেন প্রকৌশলী মোস্তফা জাকির হাসানকে। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পরেই বেহাল অবস্থা থেকে কারখানাকে রক্ষা করতে কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করেন। শক্ত হাতে বন্ধ করেন কাজে ফাঁকি দেয়া। জোরদার করেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যথোপযুক্তভাবে ব্যবহার শুরু করেন কাঁচামালের। যার কারণে উৎপাদনে নেই ঘাটতি। বন্ধ হয়ে গেছে কাজে ফাঁকি। স্ক্রাপ লোহাও আর চুরি হচ্ছে না।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাকে গতিশীল করবার ক্যারিশমা সম্পর্কে জানতে কথা হয় বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (কারখানা) মোস্তফা জাকির হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এর মালিক এদেশের মানুষ। তাই এই সম্পদকে বিকশিত করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। এই কারখানায় দায়িত্ব পালনে কেউ ফাঁকির আশ্রয় নিবে তা বরদাস্ত করা হবে না। কারখানার কোনো সম্পদের অপচয় হতে দেয়া যাবে না। শ্রমিক কর্মচারীদের ৮ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হবে। এমনকি কোনো কর্মকর্তাও কর্মঘণ্টা অপচয় করার সুযোগ পাবেন না। এছাড়াও রেলওয়ে কারখানা থেকে কোনো প্রকার মালামাল চুরি গেলে নিরাপত্তা বাহিনীকে করতে হবে জবাবদিহি।

তিনি আরো বলেন, জনগণের এই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের নিশ্চয়তা সৃষ্টি করাই আমার লক্ষ্য। তার মতে সময়, সুযোগ ও শ্রমিক কর্মচারী, কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা পেলে রেলওয়ের এই কোচ মেরামত কারখানায় আগামী দিনে যাতে নতুন কোচ নির্মাণ করা যেতে পারে সেই লক্ষ্যকে ঘিরেই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় আমার।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ





সিলেট সীমান্তে প্রায় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিকাল ০৪:৪৭:৩৩

মিরপুরে ট্রেনের ধাক্কায় একজনের মৃত্যু
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিকাল ০৪:৩৫:৫৪