সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ঘুষ ও দুর্নীতির বরপুত্র সুনামগঞ্জের সেই পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খানকে অবশেষে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে জেলা পুলিশের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার এসপি আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খানকে হেডকোয়ার্টারে এ রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার বাণিজ্য, রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন নিরীহদের মামলা, গ্রেফতারের ভয় ভীতি দেখিয়ে জেলা সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ,মধ্যনগর, জগন্নাথপুর, দিরাই, ছাতক,দোয়ারাবাজারসহ বিভিন্ন থানার ওসি, ডিবির ওসি, ডিবি পুলিশ, এসআই, এএসআই ও ব্যক্তিগত দালাল দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এসপি আনোয়ার হোসেন।
তাাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার এসপি আনোয়ার ও সীমান্ত চোরাচালানে জড়িত বিএনপি নামধারীদের প্ররোচনায় সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়। একাধিক সাংবাদিককেও আসামি করা হয়।
সুনামগঞ্জে যোগদান করার পর ঘুষের ঢাকায় দেশের দুটি বিলাসবহুল জায়গায় নতুন নতুন বিল্ডিং তৈরির কাজে হাত দেন এসপি আনোয়ার তার দুই ভাইয়ের মাধ্যমে। ঘুস হিসাবে আইফোন নিয়ে বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। তাহিরপুরের এক নারী সন্তান হত্যাকারীদের মামলার অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়ায় ন্যায় বিচার চাইতে গিয়ে এসপি আনোয়ারের হাতে লাঞ্ছিত হন। গরু, কয়লা, কসমেটিকস, মাদক, খনিজ বালি পাথর চুরি কাণ্ডে এসপি সহযোগী হিসাবে ঘুস নিয়ে পোস্টিং দেন তাহিরপুরের ওসি দেলোয়ার, মধ্যনগরের ওসি সজীব রহমান, দোয়ারাবাজারের ওসি জাহিদসহ বিভিন্ন থানার ওসি দেরকে। জেলার তাহিরপুরের বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম চৌধুরী, এএসআই জব্বার, হানিফ,টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আবীর দাস, এএসআই কার্তিকসহ বেশ কয়েকজনকে পোস্টিং দেন মাদকসহ সব ধরনের চোরাচালান বাণিজ্যে আয় বাড়াতে। এমনকি খনিজ বালি পাথর চুরি কাণ্ডে অবাধে সহযোগিতা করতেন তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available