রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ভ্যান চালক আবু ছৈয়দ (৪৭) হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছাখালি সেগুনবাগান এলাকা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবু ছৈয়দ উপজেলার ইছাখালি আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জোহরা খাতুনের করা মামলার ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতেই মো. নাজিম উদ্দিন বাচা প্রকাশ বাচাইয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের শান্তিরহাটের বাসিন্দা, তবে বর্তমানে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানাধীন সরফভাটা ইউনিয়নে থাকেন। তিনি মৃত শামসুল আলমের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, জোহরা খাতুনের স্বামী আবু সৈয়দ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি জানতে পারেন, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছাখালি নদীর পাশে তার স্বামীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা গুরুতর আঘাত করে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি স্বামীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তার মুখ, মাথা ও গলায় গুরুতর জখম ছিল।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, নিহত আবু ছৈয়দের সাথে নাজিম উদ্দিন বাচা ওরফে বাচাইয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিনও স্থানীয়রা তাদের একসঙ্গে চলাফেরা করতে দেখেন। ঘটনার পর বাচাইয়া আত্মগোপনে যাওয়ায় তাকে সন্দেহ করা হয়।মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাচাইয়াকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাচাইয়া পুলিশকে জানায়, নেশাদ্রব্য খাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাগের মাথায় সে আবু ছৈয়দকে হত্যা করে।
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল খাঁন জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি মাদকাসক্ত ছিলেন এবং ভ্যান চালাতেন। লাশের কোমরে গাঁজাও পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available