মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আরিচা ফেরিঘাটে নিম্নমানের সামগ্রীতে ডিজিটাল ওয়েস্কেল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
দায় সাড়া কাজ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হলে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে না বলেই ফোন কেটে দেন বিআইডব্লিউটিসির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. নুরে আলম।
জানা যায়, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটের ফেরিতে নির্ধারিত ওজনের অতিরিক্ত পণ্য যানবাহনে যাতে বহন করতে না পারে, সেজন্য ডিজিটাল ওয়েস্কেল নির্মাণ প্রকল্পে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রাফি এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওয়েস্কেলটি নির্মাণে নিম্নমানের ইট, খোয়া, ডাস্ট মিক্সড সিলেট সেন্ড ও লোকাল বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। ১.৫ এফএম বালু দেয়ার কথা থাকলেও লোকাল নিম্নমানের বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। গাথুনিতে পুরানো ইট ব্যবহার করায় নির্মাণ কাজ দেখে ক্ষোভের মাধ্যমে নানা অভিযোগ তুলে ধরেছেন স্থানীয়রা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. ফিরোজ জানান, ভাটায় ১ নম্বর ইটের অর্ডার দিলে ওই ইটগুলো সরবরাহ করেছে। বালুও একইভাবে আনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ নির্মাণ সামগ্রী দেখেছেন, অনুমতি নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।
আরিচা কার্যালয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান, বিষয়টি প্রধান কার্যালয় থেকে তদারকি করছে। তাই তার কাছে নির্মাণ সংক্রান্ত কোন তথ্য নেই।
এ ব্যাপারে ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিআইডব্লিউটিসির প্রধান কার্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. নুরে আলম বলেন, আমি গিয়ে নির্মাণ সামগ্রী দেখেছি। সেখানে কোনো নিম্নমানের কাজ হচ্ছে না বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।
নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির উদ্দিন বলেন, ওয়েস্কেল নির্মাণ কমিটিতে আমাকে রাখা হয়নি। তারপরও বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available