শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় নিজের শিশু কন্যাকে পুড়িয়ে হত্যার পর মাকে পিটিয়ে হত্যা করার দায়ে মানসিক ভারসাম্যহীন শান্তা (৩০) নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে শান্তা তার মেয়ে ও মাকে হত্যা করে। আটক শান্তা সদরের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের নুনগুলা গ্রামের মৃত খোদাবাক্স মেম্বারের মেয়ে। নিহতরা হলেন- শান্তার মেয়ে আশরাফী (৩ মাস) এবং মাতা হোসনেয়ারা বেগম (৬৫)।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে শান্তা তার মেয়েকে চুলার আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। এসময় শান্তার মা বিষয়টি দেখে ফেলার কারণে শান্তা তার মাকেও মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই শিললুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্তাকে হেফাজতে নেন এবং মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছেন বলে তিনি জানান।
স্থানীয়রা আরও জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী এলাকার জনৈক আজহারুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয় শান্তার। বুধবার স্বামীর সাথে মেয়ে আশরাফী নিয়ে নুনগোলা গ্রামের পিতার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন শান্তা। বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে চলে যান আজহারুল ইসলাম। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, দুপুর ২টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন শান্তা তার ঘুমন্ত শিশু কন্যা কে জ্বলন্ত চুলার মধ্যে ফেলে দেয়। এসময় তার মা বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক শান্তাকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available