• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১০ই ফাল্গুন ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৪৫:২২ (22-Feb-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১০ই ফাল্গুন ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৪৫:২২ (22-Feb-2025)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

কুড়িগ্রামে সোনাহাট সেতুর পাটাতন ভেঙে যানচলাচল বন্ধ

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সকাল ০৯:০৬:৫৭

কুড়িগ্রামে সোনাহাট সেতুর পাটাতন ভেঙে যানচলাচল বন্ধ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ সোনাহাট সেতুর পাটাতন ভেঙে পাথর বোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন যানবাহনসহ স্থানীয়রা।

২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে পাথরবোঝাই একটি ট্রাক সোনাহাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে ওঠে। এ সময় সেতুর স্টিলের অংশে পাটাতন ভেঙে ট্রাকটি আটকে যায়।

শুক্রবার রাত সোয়া নয়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  আটকে যাওয়া ট্রাকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এদিকে সেতুটির বিভিন্ন স্থানে পাটাতন ভেঙে গেছে এবং লোহার পাত খুলে গেছে। তবুও জীবন জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন।

জানা গেছে, সেতুটি দীর্ঘদিনের পুরানো ও মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ও কচাকাটা থানার কয়েক লাখ মানুষ। ১৮৮৭ সালে লালমনিরহাট থেকে ভারতের গৌহাটি পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হয়। তারই অংশ হিসেবে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদের ওপর নির্মিত হয় ১২০০ ফুট দীর্ঘ এ সোনাহাট রেল সেতু। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের প্রবেশ ঠেকাতে সেতুটির একটি অংশ ভেঙে দেয়া হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেতুটি মেরামত করে ভূরুঙ্গামারীর দক্ষিণের তিন ইউনিয়ন ও  কচাকাটা থানা, কেদার, মাদারগঞ্জের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সচল করা হয়।

নির্মাণের সময় সেতুটির আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয় ১০০ বছর। সেই মতে, সোনাহাট সেতুর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগেই। নড়বড়ে সেতুটি যেকোনো সময় ভেঙে ঘটতে পাড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বন্ধ হয়ে যেতে পারে সোনাহাট স্থলবন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম।

সোনাহাট স্থলবন্দর এবং ভুটানের সঙ্গে যাতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম ব্যাহত না হয় সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ রেল সেতুর পাশে দুধকুমার নদের দক্ষিণে ২০১৮ সালে ৬৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নতুন পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ওই সেতুর নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৪ দফা মেয়াদ এবং বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলেও কাজ শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তাই সেতুটির কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয় ব‍্যবসায়ী ফরিদুল, সাইফুর ও শহিদুল  বলেন, এই রেল সেতু দিয়ে পাথরবোঝাই ট্রাক যাওয়ার সময় সেতুটি থরথর করে কাঁপতে থাকে। এ ছাড়া সরু রেল সেতু দিয়ে যখন একটি ট্রাক যায় তখন পাশ দিয়ে অন্য কোনো যানবাহন যাওয়ার জায়গা থাকে না। এতে সেতুর দুই প্রান্তে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয় জানতে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম এর  মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ

জার্নালিজম ফর সুন্দরবনের কমিটি গঠন
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:২৭:১৪


ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান ইবি শিক্ষার্থীরা
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৩:২৩