স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানাধীন হাউজিং এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় স্থানীয়দের দোকান পাঠ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। এ হামলায় অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, কোনাবাড়ী হাউজিং এলাকার সভাপতি মো.সালাউদ্দিনের এক ছেলে সম্প্রতি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায়। তার মৃত্যুতে পরিবার একটি মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করার উদ্যোগ নেয়। সেই মিলাদ মাহফিলের বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মো. ফজলুল হককে ডাকা হলে তিনি নানা কারণে সময় দিতে পারেননি। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে কোনাবাড়ী হাউজিং এলাকার সভাপতি মো. সালাউদ্দিন এবং ফজলুল হক আলোচনায় বসেন। সেখানে বসে তারা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় বিএনপি'র নেতা বারেক সরকার বিষয়টি জানতে পেরে সালাউদ্দিন ও ফজলুল হককে তার অফিসে ডেকে নিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করে।
এ সময় হঠাৎ করে লোকজন এসে আশপাশের ১০ থেকে ১৫ টি দোকানের শাটার ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। ওই ঘটনার সময় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী মেট্রো থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
কোনাবাড়ী থানা বিএনপির সভাপতি ইদ্রিস আলী সরকার বলেন, কোনাবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেনের ছেলে সালিম ও উজ্জল হোসেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুর করে।
কোনাবাড়ী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন বলেন,ঘটনার মূল সূত্রপাত হয় কোনাবাড়ী হাউজিং এলাকায় একটি সালিশ বৈঠক থেকে। পরে কথা-কাটাকাটির জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার পরিবারে কেউ জড়িত নয়।
কোনাবড়ী মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available