মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় হৃদয় হোসেন (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।
২৬ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত হৃদয় হোসেন একই উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের সাহাদত আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রামনগর গ্রামের মিরা ইসলাম একটি নতুন ট্রাক্টর কিনেছেন। তার ছেলে সামি উল্লাহ (১৮) ট্রাকটর নিয়ে চরগোয়াল গ্রামে যায়। এসময় ট্রাক্টরের ধাক্কায় চরগোয়াল গ্রামের একটি ঈদগাহের গেট ভেঙ্গে যায়। ঈদগাহের গেট ভেঙে দেওয়ায় ওই গ্রামের লোকজন ট্রাক্টরের চাবি নিয়ে নেয়। পরে রামনগর বাজারের জান্নাত মোটরসাইকেল ওয়ার্কসপে বসে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করে।
এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে হৃদয় হোসেনের মাথায় আঘাত লাগলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, হৃদয় হোসেনের মৃত্যুর খবর চরগোয়াল গ্রামে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী রামনগরের গিয়ে জান্নাতের মোটরসাইকেল ওয়ার্কসপে ভাঙচুর, লটুপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ পুরো দো্কান পুড়ে ভস্মীভূত হয়।
তবে চরগোয়াল গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, জান্নাতের ওয়ার্কসপে বসে মীমাংসা কথাবার্তা হচ্ছিল। এসময় জান্নাত বলে আমার দোকানে কি? এ কথা বলে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। তার হাতুড়ির আঘাতে হৃদয়ের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও অভিযোগ করেন, ঘটনার শুরুতে খায়রুল নামের এক দারোগাকে ফোন করি। তিনি আসছি আসছি বলে না আসায় এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি আসলে হয়ত বড় ধরনের ঘটনা ঘটতো না।
খবর পেয়ে গাংনী থানার ওসি বাণী ইসরাইলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম, সেনাবাহিনী ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম সংঘর্ষে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঈদগাহের গেট ভাঙাসহ আরো বিভিন্ন বিষয় আছে। পুলিশ, র্যাব ও যৌথ বাহিনীসহ আমরা আছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে খুব দ্রুতই দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available