মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতী ইউনিয়নে নিন্মমানের পাথর দিয়ে সড়কে কার্পেটিং করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়ক নির্মাণে অনিয়ম নিয়ে স্থানীয়রা উপজেলার বিভিন্ন দফতরে মৌখিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় গোমতী আলীম রাইটার পাড়া থেকে বড়কুচি পাড়া সড়কের ৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ করছেন বিকাশ এন্ড সন্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কথা হয় সড়কের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত সাব স্টেশন ইঞ্জিনিয়ার সুশবন চাকমার সাথে। সড়কের কার্পেটিংয়ে কি পরিমাণ বিটুমিন ওয়ার্ক অর্ডারে ধরা হয়েছে এবং কতোটুকু দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে অনুরোধ করেন।
সড়কটিতে ১৬,১২ ও ৬ মিলিমিটার ভাঙ্গা পাথর ও উন্নতমানের ডাস্ট দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। এছাড়া পাথর ও বিটুমিন মেশানো স্থানে গিয়ে দেখা যায়, মিক্সিংয়ে সঠিক মাপের পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে না। গোলাকার পাথর দিয়েই চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ। ময়লা আর্বজনায় মেশানো ডাস্ট এবং বিটুমিন দিয়েই করা হচ্ছে রাস্তার কাজ।
সড়ক নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়কে পরিস্কার ডাস্ট না দিলে কার্পেটিংয়ে ফিনিসিং খারাপ হয় এবং ভাঙ্গা পাথর না দিলে বিটুমিনের সাথে পাথরের জয়েন্ট ভালো হয় না। এতে সড়ক নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই সড়ক থেকে পাথর উঠে যায়। তাই সড়ক নির্মানে অব্যশই সঠিক মাপের ভাঙ্গা পাথর দিয়ে নির্মাণ করতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, সড়কটির সংস্কার হচ্ছে যেনতেনভাবে। কোনমতে ময়লা পরিস্কার করে কার্পেটিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে মৌখিক অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।
গোমতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার কাছে স্থানীয় লোকজন সড়কে কার্পেটিং কাজের অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেছে। অসুস্থতার কারণে আমি ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ এন্ড সন্সের প্রতিনিধি বিমল ত্রিপুরার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ১ এবং ৬ মিলিমিটার পাথর দিয়ে কাজ করেছি। ডাস্ট মানেই পাথরের গুরো তাই আমাদের ডাস্টে কোন ময়লা নেই ।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহাজাহানের কাছে। তিনি এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। কাজের অনিয়মের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কাজে কোন অনিয়ম হয়নি । এ বিষয়ে আমি কোন কথা বলবো না।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available