চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়নসহ ৭ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গত ১ মার্চ শনিবার থেকে জেলার সকল ইটভাটায় ইট প্রস্তুত সহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর আগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি খাজা নাসির উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রীয় ইটভাটা মালিক সমিতি কর্তৃক ইটভাটার বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশ ব্যাপী বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণার প্রেক্ষিতে এক জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইটভাটা মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং একই সাথে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির নির্দেশনা অনুযায়ী ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তাদের ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার ৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়।
তিনি জানান, ঘোষিত সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে ৪ মার্চ মঙ্গলবার সারাদেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও আগামী ১১ মার্চ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারাদেশের জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল মোতালেব বিশ্বাস বলেন, আমাদের এই আন্দোলনের মাধ্যমে জেলাবাসীর নিকট উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, ইট শিল্পকে বাঁচানোর জন্য আপনারা সকলে এগিয়ে আসুন। এটিকে টিকিয়ে রাখতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আসিরুল ইসলাম সেলিম, সহ-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আলফাজ উদ্দিন লিটন, কোষাধ্যক্ষ আবিদুদ্দোজা কেবল, নির্বাহী সদস্য হায়দার আলী, আ.ওয়াহেদ প্রমুখ ছাড়াও জেলার সকল ইট প্রস্তুতকারী মালিকগন।
ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির দাবিসমূহ:
১। ২০১৩ সনের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের জিগজাগ ভাটা বৈধ পদ্ধতির উল্লেখ থাকলেও উক্ত আইনের ৮(৩)(ঙ) এবং ৮ (৩) (খ) উপ-ধারায় “দুরত্ব নির্দিষ্ট” করনের কারণে দেশের কিছু জিগজাগ ইটভাটার মালিকগণ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর হাইব্রিড কিলন এবং ট্যানেল কিলন এর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ১০০০ মিটারের পরিবর্তে ৪০০ মিটার নির্ধারণ করেছে সুতরাং আমাদের জিগজ্যাগ ভাটার জন্য উক্ত আইনের ৮ (৩) (ঙ) ধারায় নিষিদ্ধ এলাকার দুরত্ব ৪০০ মিটার এবং আইনের ৮ (৩) (খ) এ বনের দুরত্ব ৭০০ মিটার করে লাইসেন্স ও ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিপত্র জারীর মাধ্যমে পরিচালনা করার সুযোগ প্রদানের আবেদন জানাচ্ছি।
২। জিগজাগ ইটভাটায় কোন প্রকার হযরানি বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না, তাহা না হলে আমরা ভ্যাট টেক্স দেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।
৩। কোন ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে বন্ধ করতে হবে।
৪। মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে।
৫। পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডি.সি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স সহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি ইস্যু/নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলক জমা দেয়ার বিধান করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করছি।
৬ । ইটভাটাকে শিল্প হিসাবে ঘোষণা দেয়ার দাবি করছি। করতে হবে।
৭। দাবিসমূহ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে আলোচনায় না বসলে পবিত্র ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available