কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনির গণশুনানির কারণে জমিজমা সংক্রান্ত মিসকেস দ্রুত সমাধান হচ্ছে। যার ফলে কমেছে জনদুর্ভোগ। পাশাপাশি সেবাদান চিত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এক সময় বিভিন্ন কাজে দীর্ঘসূত্রতা থাকলেও বর্তমানে তা দ্রুত সমাধান হচ্ছে। মামলার নিষ্পত্তি শেষে বাদী-বিবাদীরা খুশি মনে এসিল্যান্ড কার্যালয় ত্যাগ করছেন।
সপ্তাহের প্রতি বুধবার উপজেলা সহকারী কমিশনারের ভূমি (এসিল্যান্ড) কার্যালয়ে বসে এ গণশুনানি। এতে ভূমি সংক্রান্ত নানা জটিলতার অবসান হচ্ছে। সেবাগ্রহীতাদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। এছাড়াও অফিসে রয়েছে সিটিজেন চার্টার এবং তথ্যসহায়ক কর্মকর্তা। যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে উপজেলা ভূমি অফিসে এসে সেবা নিতে পারেন।
কচুয়ার বর্তমান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনি ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে যোগদান করেন। ইতোমধ্যেই তার এ গণশুনানির কারণে কয়েক শতাধিক পরিবার উপকৃত হয়েছে। প্রতি বুধবারের এ গণশুনানিতে ১০-১৫টি করে জমিজমা সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হয়।
উপজেলার জগতপুর এলাকার শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান এসিল্যান্ড স্যার বাদী ও বিবাদী কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেন। ভুলক্রমে অন্যের জায়গা আমার নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। আমি গণশুনানিতে এসে তার সমাধান পেয়েছি।
এ ব্যাপারে কচুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এমদাদ উল্লাহ বলেন, নামজারি করতে হলে অনেক টাকা দিয়ে দালাল ধরে নামজারি করতে হতো। বর্তমান এসিল্যান্ড দায়িত্ব নেওয়ার পর দালালের দৌরাত্ম্য কমেছে এবং মানুষের কাছে নামজারি সহজ হয়ে গেছে। মিসকেস বিষয়ে গণশুনানির মাধ্যমে সমাধান করে দিচ্ছে, এতে মানুষ নানা ধরনের হয়রানি থেকে রেহাই পেয়েছেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পী দত্ত রনি বলেন, ‘যেসব মিসকেস পেয়ে থাকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আপোস বণ্টন কম হয়। ওয়ারিশ সম্পত্তি একেকজন নিজেদের মতো ক্রয়-বিক্রয় করে কিন্তু দখলে দেখা যায় অন্যজন থাকে। এই ধরনের সমস্যাগুলো বেশির ভাগ গণশুনানিতে সমাধান করতে হয়। ফলে ভূমি সংক্রান্ত দীর্ঘ দিনের সমস্যা সমাধান হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ওয়ারিশমূলে মালিকানা অর্জনের ক্ষেত্রে আপোস বণ্টন এবং ক্রয়সূত্রে ভূমি মালিকানা হস্তান্তর করার সাথে সাথে মালিকেরা নিজ নিজ নামে পৃথক নামজারি জমা খারিজ করিয়ে নিলে এবং নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করলে ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ও জালিয়াতি উভয়ই হ্রাস পাবে।
এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশক্রমে কচুয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সরকারি জায়গায় নির্মিত দোকানপাট উচ্ছেদ ও অনেক জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত ফসলি জমি রক্ষায় মাটি কাটা ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available