স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ হয়েছিল বিএনপির দুই পক্ষে। এ সময় সোহাগ নামের এক যুবককে পিস্তল হাতে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। তার সঙ্গে দলীয় বা ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর।
৮ মার্চ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় অস্ত্রধারী সোহাগকে দ্রুত গ্রেফতারেরও দাবি জানান তিনি।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, অস্ত্রধারী সোহাগ বিএনপি, ছাত্রদল বা কোনো অঙ্গসংগঠনের কোনো পদে নেই। সে কখনও বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত নয়। ছাত্রদল বা বিএনপি কখনোই অস্ত্র ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।
আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির কয়েকটি পক্ষের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাকিবুর রহমান সাগরের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় নাসিকের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, শাহ আলম মানিক ও রুহুল আমিনের লোকজনের। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় ১০টি মোটরসাইকেল। এ সময় আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কের পূর্ব পাশে ডিএনডি সেচ খালের সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায় সোহাগকে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি ব্যক্তিগত কাজে সোনারগাঁয়ে ছিলাম। হঠাৎ ফোন পাই মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো. মানিক ও সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহনকে যুবলীগের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি মতিউর রহমান মতির সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা-চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখেছে। ওই হামলায় অংশ নেয় পাবনাই বাবু, বুইট্টা রনিসহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে আমি সরাসরি থানায় অবস্থান করি। এ সংঘর্ষে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available