হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ইসমাঈল হোসেন রবিন ফকিরের(২৫) উপর হামলার প্রতিবাদে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৯ মার্চ রোববার বিকেলে ১১ নং আমতৈল ইউনিয়নের নাগলা বাজার (হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ) আঞ্চলিক সড়কের পাশে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে লিজা আক্তার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রুস্তম ফকির ও তার ছেলে রাছেল ফকির দলবল নিয়ে প্রকাশ্যে রবিনের উপর হামলা করে। রবিন জান বাঁচাতে মসজিদে ঢুকে পড়লে হামলাকারীরা তাকে সেখানেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এখন সে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা এ ঘটনায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নজরুল ইসলাম বলেন, হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী ও গ্রেফতার রাছেল ফকির ঢাকা সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অফিসে এম এল এস (পিওন) পদে চাকরি করে। সে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে মাসের বেশিরভাগ সময় বাড়িতে অবস্থান করে। গত বুধবার সে বাড়িতে অবস্থান করে রবিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলায় নেতৃত্ব দেয়। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফুলপুর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় নাগলা বাজার জামে মসজিদের উপদেষ্টা আলহাজ্ব হাফিজ উদ্দিন ফকির বলেন, রুস্তম আলী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মসজিদের সভাপতি হন। মসজিদের অর্থের কোনো হিসেব না দিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করে রবিন। এ নিয়ে মসজিদ কমিটি নিয়ে রুস্তম আলীর সাথে রবিনের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে রাছেল ফকিরের স্ত্রী মৌ বলেন, আমার স্বামীর সাথে রবিনের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। রাছেল ফকির ছুটি নিয়ে বুধবার বাড়িতে এসেছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেদিন সে ছুটি নিয়ে আসেনি।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ বুধবার ইফতারের সময় আমতৈল ইউনিয়নের নাগলা ফকির বাড়ির হারুনুর রশিদের পুত্র ইসমাঈল হোসেন রবিন ফকিরের (২৫) উপর নাগলা জামে মসজিদে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ও ক্যাডার বাহিনী হামলা চালায়। এসময় প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র রামদা, চা পাতি, কুড়াল, দা, শাবল দিয়ে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available