মো. গোলামুর রহমান, লংগদু (রাঙ্গামাটি) প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার তিন ইউনিয়নের যাতায়তের একমাত্র ব্রিজটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে নদীতে। এতে করে বন্ধ হয়ে যাবে লাখো মানুষের চলাচল।
ব্রিজটি বহুবছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। যার ফলে বর্তমানে এক সেকেন্ডের ও ভরসা নেই টিকে থাকার। যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রিজটির নিছের পিলারগুলো ভেঙ্গে ব্রিজের সাথেই লটকে আছে। রেলিংগুলো ভেঙ্গে পড়েছে বহু আগেই। এতে করে ব্রিজটির উপর দিয়ে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ছোট ছোট যানবাহনগুলো প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে ব্রিজের এপার থেকে ওপার।
দীর্ঘদিন যাবত ভারী যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে কৃষক ও বিভিন্ন ধরণের ব্যবাসায়ীরা। মালামাল পারাপার করতে না পেরে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও। এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও যাতায়াত করছে। ভোগান্তিতে পড়েছে গবাদিপশুর মালিকরাও। ব্রিজের রেলিং না থাকায়ি এর থেকে পড়ে আহত, নিহত হচ্ছে গবাদি পশু। এসব ভোগান্তির কারণে গাড়ি চালকরাও আছে বিরাট আতঙ্কে।
স্থানীয়দের দাবি ব্রিজটিতে যেহেতু সাময়িকভাবে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা তৈরি করে যান চলাচল চালু রাখতে হবে। একই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে। মাত্র ৭০ মিটার একটি ব্রিজের জরাজীর্ণ অবস্থার জন্য আমরা চরম দুর্ভোগে পড়েছি। দ্রুত আমরা নতুন ব্রিজ চাই।
বগাচতর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মুসা বলেন, আমার বাড়ি পাশে ব্রিজটি দীর্ঘ কয়েক বছর যাতৎ এই অবস্থায় পড়ে আছে। বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনও করা হয়েছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না।
বগাচতর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার জানান, বিভিন্ন অফিস আদালতে ব্রিজটির জন্য আবেদন করেও কোনো ফল পাচ্ছি না। একটি মাত্র ব্রিজের জন্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে লাখো মানুষের। প্রতিদিন কয়েক মেট্রিক টন কাঁচামাল এই রাস্তা দিয়ে পারাপার করা হয়। বর্তমানে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে তিন ইউনিয়নের দেড় লাখেরও বেশি মানুষ।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে ব্রিজটি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো সুফল আমরা পাইনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আলম বলেন, ব্রিজটি সম্পর্কে সকল প্রকার ডকুমেন্টস ফাইল তৈরি করে ইতোমধ্যে উপরে পাঠানো হয়েছে। মাত্র ৭০ মিটার একটি ব্রিজ আশা করি শীঘ্রই অনুমোদন হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছে যেকোনো প্রকল্প থেকে ব্রিজটি নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকিব ওসমান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available