রংপুর ব্যুরো: মামলা করতে আসা বাদীকে মারধর ও মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারে ঘুষ দাবির অভিযোগে রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
১৫ মার্চ শনিবার বিকেল ৫টায় পুলিশের হেড কোয়ার্টার্সের ডিআইজি প্রশাসন মো.ফজলুল করিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে ১৬ মার্চের মধ্যে হেড কোয়ার্টার্সে রিপোর্ট করতে বলা হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (হেড কোয়ার্টার্স ও অতিরিক্ত দায়িত্ব অপরাধ) মো. হাবিবুর রহমান জানান, শনিবার বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আদেশে উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সারকে হেড কোয়ার্টার্সে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
এর আগে, ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় চাঁদাবাজির মামলার বাদী পলাশ হাসানকে (২৭) মারপিট এবং কনস্টবলের রাইফেল কেড়ে নিয়ে গুলি করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে উপ-পুলিশ কমিশনার শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি জিডি এবং হেড কোয়ার্টার্সে প্রতিবেদন পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সংশ্লিষ্ট তদন্ত সূত্রগুলো জানায়, গত ১১ মার্চ পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে উপ-কমিশনার শিবলী কায়সার এবং ব্যবসায়ী অমিত বণিকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন লিপি খান। এতে একটি অডিও ক্লিপ সংযুক্ত করা হয়। ওই ক্লিপে লিপি খান ভরসাকে ব্যবসায়ী অমিত বণিক বলেন, উপ-পুলিশ কমিশনার শিবলী কায়সারকে ১০ লাখ টাকা দিলে লিপি খান ভরসার মামলা থাকবে না এবং সুরক্ষা পাবেন।
এরপরেই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে অমিত বণিককে থানায় ডেকে নেয় কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। পরে বিকেল ৪টার দিকে লিপি খানের পক্ষে থানায় মামলা করতে যান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পলাশ হাসান (২৭)। বিকেল ৫টার দিকে থানায় যান উপ-পুলিশ কমিশনার শিবলী কায়সার। এসময় তিনি লিপি খান ভরসার ম্যানেজার পলাশ হাসানের ওপর চড়াও হন।
রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, থানার ঘটনায় জিডি করে হেডকোয়ার্টার্সকে জানানো হয়েছে। হেড কোয়ার্টার্স তাকে সেখানে রিপোর্ট করতে বলেছে। তার বিরুদ্ধে আর কি ব্যবস্থা গ্রহণ হবে সেটি হেড কোয়ার্টার্স বলতে পারবে।
তিনি জানান, লিপি খান ভরসাকে গ্রেফতারে রাজধানীর গুলশানে তার বাসা ঘেরাও করে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী ছাড়াও মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দিতে অর্থ লেনদেনের যোগসাজশ করেছেন। তাকে গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার ব্যবসায়ী অমিত বণিকের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে অর্থ জোগান দেয়া এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া মানি লন্ডারিং ও অবৈধ অর্থ লেনদেনেরও অভিযোগ আছে। এ বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available