রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: স্ত্রীকে নিয়ে যেতে না দেয়ায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্বশুর-শাশুড়িকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ১৬ মে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত শ্বশুর শহিদুল হাওলাদার ও শাশুড়ি সুখি বেগমকে চিকিৎসার জন্য গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত জামাতা হৃদয় আহমেদ রাজুকে (২২) ছুরিসহ গ্রেপ্তার করেছে গলাচিপা থানা পুলিশ। অভিযুক্ত হৃদয় গলাচিপা উপজেলার রতনদী গ্রামের কবির দফাদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১০ মাস আগে শহিদুল হাওলাদারের অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া কন্যা মিনজার সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে হৃদয়ের। পরে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তারা পালিয়ে বিয়ে করেণ।
হৃদয়ের সঙ্গে মাস দুয়েক সংসারও করেছিল মিনজা। পরে বাবার বাড়ি বেড়ানোর কথা বলে চলে আসে সে।
গত ছয়মাস ধরে স্ত্রী ফিরে না আসায় ঘটনার দিন স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি আসে হৃদয়।
কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়ি মেয়েকে তার কাছে দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শ্বশুর শহিদুল হাওলাদারকে হাতে ও পেটে এবং শাশুড়ি সুখি বেগমের হাতে ও কাঁধে ছুরিকাঘাত করে হৃদয়। ঘটনার সময় প্রতিবেশীরা হৃদয়কে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
আহত শ্বশুর শহিদুল হাওলাদার ও শাশুড়ি সুখি বেগম দাবি করেন, হৃদয় মাদকাসক্ত। তাদের মেয়েকে নিয়মিত মারধর করতো সে। তাই মেয়ে আর ফিরে যেতে না চাওয়ায় তারাও মেয়েকে যেতে দেয়নি। এ কারণে হৃদয় ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, গ্রেফতার হৃদয়ের দাবি শ্বশুর তাকে প্রথমে ঘুষি ও চড় মারায় তিনি রাগান্বিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available