কুমারখালী ( কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সব হারানো সাতটি পরিবারের খোঁজ নিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম।
২০ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে সরেজমিন গিয়ে তিনি সার্বিক খোঁজ খবর নেন। পরে মানবিক সহায়তা হিসেবে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে ২৯ হাজার টাকার চেক তু্লে দেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রেজাউল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনিছুর রহমান প্রমূখ।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার দুপুরে মোকাদ্দেশ হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল্লাহর গোয়াল ঘর থেকে বিকট শব্দ হয় এবং দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। পরে প্রথমে স্থানীয়রা এবং পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় প্রায় একঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে মোকাদ্দেশ হোসেন, তার ছেলে মো. আব্দল্লাহ, আব্দুল্লাহর ছেলে রাজিব হোসেন, মৃত হাসমতের ছেলে কেরামত আলী ও আবু দাউদ, আবু দাউদের ছেলে শরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম ঘর, আসবাবপত্র, নগদটাকা, ফসলাদি, গবাদিপশু সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দাবি, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে প্রায় ২৫ -৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও আগুন নিভাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন বৃদ্ধ মোকাদ্দেশ হোসেন ও তাঁর পুত্রবধূ নাজমা খাতুন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই প্রাণ গেছে মোকাদ্দেশের। আর গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর পুত্রবধূ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মিকাইল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ আটজনকে ৩ হাজার করে ২৪ হাজার টাকা এবং নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ২৯ হাজার টাকা মানবিক সহযোগীতা করা হয়েছে। লিখিত আবেদন করলে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের সহযোগীতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available